মোছাঃ নিছপা আক্তার//হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ শহরতলীর বড় বহুলা গ্রামে সানজানা শিরীনের নির্মাণাধীন ডেলিভারী সেন্টারে জুয়ার আসর বসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায়ই দুর দুরান্ত থেকে জুয়াড়িরা এখানে এসে জুয়ার আসর জমাতো। মঙ্গলবার (২০ মে) দিবাগত রাত ১ টার দিকে সদর থানার ওসি (তদন্ত) সজল সরকার, ওসি অপারেশন জাহাঙ্গীর আলম, এসআই সুজন শ্যামসহ একদল পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ডেলিভারী সেন্টারে অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এ সময় ডেলিভারী সেন্টারের অদূরে সড়কে রাখা ৮টি মোটর সাইকেল ও একটি সিএনজি আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, গোপন সূত্রে খবর পাই নির্মাণাধীন ডেলিভারী সেন্টারের পরিত্যক্ত জায়গায় জুয়ার আসর বসছে। পুলিশ অভিযান চালালে জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়। তবে গাড়িগুলোর মালিক না পাওয়ায় সেগুলো থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উল্লেখ্য, সানজানা শিরীনের নির্মাণাধীন ডেলিভারী সেন্টারটি নির্জন স্থানে হওয়ায় এক শ্রেণির জুয়াড়িরা দুর দুরান্ত থেকে এসে প্রায়ই জুয়ার আসর বসায়। ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্টসহ যুবসমাজ বিপথে যাচ্ছে। সানজানা শিরীন জানান, পুলিশের অভিযানের পর খবর পেয়েছি। পরবর্তীতে যাতে এমনটা না হয় নজর রাখা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, নরমাল ডেলিভারি সেন্টারের নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে নির্জন স্থানে এত বড় বিল্ডিং নির্মাণ করে ফেলে রাখার কারণেই বর্তমানে এই স্থানটি জুয়ারীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
নরমাল ডেলিভারি যে কারো বাসা বাড়িতেই করা যায়। এর জন্য এত বড় বিল্ডিং এর কোন প্রয়োজন নেই। সর্বোচ্চ এক থেকে দুই রুমের একটা বাড়ি ঘর হলেই অনায়াসে নরমাল ডেলিভারি করা যায়। নরমাল ডেলিভারির মানুষের টাকায় এত বড় বিল্ডিং নির্মান সূম্পর্ণ অযৌক্তিক।
আজকে এখানে জোয়ার আসর বসছে, ভবিষ্যতে আরো কত কি হয় সেই চিন্তায় আছি।