সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি(জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ
ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান ও পরিবেশের জন্য সরকারি কোষাগারে চালানের মাধ্যমে ফি প্রদান করা হলেও বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণ দেখিয়ে হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে পাঁচবিবিতে স্থাপিত ১৪টি ইটভাটার মধ্যে ৮টি ইট ভাটা মালিককে যথাযথ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেছে প্রশাসন। অন্যথায় ইটভাটা গুলো বন্ধ অথবা ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে জানার পর আজ বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবরে ভাটা মালিকগণ স্মারকলিপি প্রদান করেন ।
স্মারক লিপিতে ভাটা মালিকগন বলেন,প্রায় ৩০/৪০ বছর যাবৎ আমরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছি । দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ভুমিকা রাখছি । সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জিগজ্যাগ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভাটা স্হাপন করে পরিবেশ রক্ষা করছি। প্রতি বছর ভ্যাট ট্যাক্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরে ফি প্রদান করছি । আমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স পাচ্ছিনা। ঈদের আগে অভিযান হলে ইটভাটায় সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে।তাই আমরা এই স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে সরকারের নিকট লাইসেন্স প্রদানের দাবি জানাচ্ছি । এছাড়াও স্মারকলিপিতে জিগজ্যাগ ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বন্ধ,ইটভাটা বন্ধ করলে ক্ষতিপূরণ প্রদান, ইটভাটাকে শিল্প হিসাবে ঘোষনা, এবং ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদি পূর্নাঙ্গ নীতিমালা ঘোষনার দাবি জানান ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি পাঁচবিবি উপজেলা শাখার সভাপতি আনিছুল ইসলাম চৌধুরী, ইট ভাটার মালিক আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম মন্ডল, আবুল হাসনাত মন্ডল হেলাল, মনোরঞ্জন দাস রতন, বেলাল চৌধুরী,হেলাল উকিল ও বাবু মন্ডল প্রমুখ।
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ভারপ্রাপ্ত) বেলায়েত হোসেন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঁচবিবি উপজেলায় ৮টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। এরই মধ্যে ভাটা মালিকদের স্মারকলিপি পেলাম। বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করবো ।