নিজেস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মুয়াজ্জিন আব্দুল হাশিম হত্যাকাণ্ডের ২বছর অতিবাহিত হওয়ার পর এখনি শেষ শেষ হয়নি তদন্ত।
উপজেলার বড়গোপ টিলায় ২০২২ সালের (২৫শে আগস্ট) বুধবার বাদ আসর প্রতিপক্ষের লোকজন স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন আব্দুল হাশিমকে (৭০) পিটিয়ে হত্যা করে।
জানা যায়, মসজিদের টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে লাটিপেটার শিকার হন মুয়াজ্জিনের পুত্রবধূ। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল হাশিমকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নারী শিশুসহ নিহতের পরিবারের আরও তিন সদস্য আহত হয়েছিলেন।
এদিকে মুয়াজ্জিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ,খসড়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত জমির হোসেন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করার পরও বিচার পেতে বর্থ্য নিহতের পরিবারবর্গ। পরিবারের দাবি তৎকালীন নবাগত এস আই মৃদুল হত্যার চার্জশিট সঠিক ভাবে দিতে অপারগতা স্বীকার করেন। এবং গণমাধ্যমে বলেছিলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র যেকোন দিন আদালতে জমা দেওয়া হবে।
ঐদিকে হত্যাকাণ্ডের ২বছর অতিবাহিত হওয়ার বিচার পেতে বর্থ্য মুয়াজ্জিনের পরিবার। এমনকি উল্টো আওয়ামী লীগের দাপট খাটিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা জমির হোসেন গং নিহত মুয়াজ্জিনের পরিবার কে মামলা তুলে নেওয়া চাপ প্রয়োগ এবং দ্রুত মামলা না তুললে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অনবরত। তাছাড়া বটি,লাটি,রামদা সহ বিভিন্ন দেশিও অস্ত্রো দিয়ে নিহতের পরিবার কে ভয় দেখানো হচ্ছে। এমতাবস্থায় বসত ভিটা বিক্রি করে অন্য স্থানে গিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে নিহত মুয়াজ্জিন পরিবার।
নিহত মুয়াজ্জিনের পুত্র মাসুক মিয়া বলেছেন, ‘হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট তৈরি করেছিল, কিন্তু প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় গত ২ বছরেও তা আদালতে জমা দেয়নি।’ তার অভিযোগ, সরকারের ‘অঘোষিত ইনডেমনিটি’ ভোগ করছে জমির হোসেনের পরিবার।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন তাহিরপুর থানার এস আই মৃদুল কান্তি সরকার বলেন, আমি চাকরিতে নতুন হওয়ার কারণে খুন ও মামলার বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেনি। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ০৮ই ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে লিখিতপত্র প্রেরণ করেছি।