বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

স্বামীর বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় মেয়েকে শেঁকলে বেঁধে নির্যা*তন!!

জুয়েল মাহমুদ উজ্জল, পরিচালক (উত্তর বাংলা)
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
  • ৫২ Time View

 

অনলাইন ডেক্সঃ
বরিশালে হাবিবা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীকে শেকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নিজ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩ জুন) তাকে শেকলমুক্ত করা হয়েছে।
বরিশালের উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। হাবিবা জামাল হাওলাদার ও মারুফা বেগম দম্পতির মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে স্কুলছাত্রী হাবিবার পরিবারের সদস্যরা জোর করে সাজিদ মোল্লার সঙ্গে বিয়ে দেন। সাজিদ একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামের শাহজাহান মোল্লার ছেলে। বিয়ের পর স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার সকালে পালিয়ে ওই স্কুলছাত্রী বাবার বাড়িতে চলে আসে। তখন মা মারুফা বেগম, বাবা জামাল হাওলাদার ও দুলাভাই আলামিন আকনসহ কয়েকজন মিলে হাবিবাকে শেকল ও রশি দিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন।

এ ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এরপর শনিবার রাতে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে বাসায় যান। পুলিশ আসার খবরে হাবিবার পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা বলেন, ওই গ্রামের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। ঘটনার শোনার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে এর সত্যতা পাই। তাদের মাধ্যমে মেয়েটিকে শেকলমুক্ত করা হয়। পরে তার বাবা-মাকে রোববার বিকালে সমাজসেবা অফিসে ডেকে আনা হয়। সেখানে তারা স্বীকার করেন দরিদ্রতার কারণে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছেন। কিন্তু মেয়ে সেখান থেকে চলে আসায় তারা তাকে শ্বশুরবাড়ি যেতে বলে। কিন্তু কোনোভাবেই রাজি না হওয়ায় তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এ কাজ করা ঠিক হয়নি বলেও জানান তারা।

স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর নির্যাতন চালাতো ওই পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার (১ জুন) সুযোগ পেয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজন তাকে বকাঝকা করেন। এক পর্যায়ে তাকে শ্বশুরবাড়ি যেতে চাপ প্রয়োগ করেন। কোনোভাবেই ওই বাড়িতে যাবে না জানালে তাকে তার বাবা-মা লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে।

হাবিবার মা মারুফা বেগম বলেন, আমরা দরিদ্র হওয়ায় হাবিবার লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারছিলাম না। তাই তাকে বিয়ে দিয়ে দিই। স্বামীর বাড়িতে ফিরে না যাওয়ার কারণে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে।

শেয়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও
© All rights reserved © 2022 Uttorbangla24 live
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102