হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ গত শনিবার,সতেরো ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় বাঙালির প্রাণকেন্দ্র বোম্বে গ্রীলে মহান বিজয়ের একান্নতম বার্ষিকীতে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্দ্যেগে স্মরণে শ্রদ্ধায় বর্ণাঢ্য বিজয় দিবস পালিত হয়। ১৯৭১ ষোলোই ডিসেম্বরের এই মহিমান্বিত দিনে বীর বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ শেষে মহান বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।সীমাহীন দুর্ভোগ, অবর্ণনীয় আত্মত্যাগ , আর নয় মাসের সশস্র সংগ্রামের মাধ্যমে এক সাগর-নদী রক্ত পেরিয়ে এ জাতি তার সর্ব শ্রেষ্ঠ অর্জন বিজয় মুকুট ছিনিয়ে আনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে। স্বাধীনিতা প্রিয় বাঙালি তার এই অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিনকে স্মরণীয় করতে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডাবাসী লিটল বাংলাদেশ বোম্বে গ্রীলের সুস্বজ্জিত চত্বরে সমবেত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার মধ্যে নির্ধারিত উৎসব স্থান কানায় কানায় পুন্য হয় ।রাত সাড়ে ছয়টায় শুরু হয় স্মরণ সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহা নগর আওয়ামী লীগ এর সংগ্রামী সভাপতি মোয়াজ্জেম ইকবাল আর সঞ্চালনায় ছিলেন জসীম উদ্দিন ও সালেহ করিমুজ্জামান। মঞ্চে আসন গ্রহন করেন উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান মিলন ,বর্ষীয়ান নেতা অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ,শামসুস তোহা, মোহাম্মদ নূর,মিজানুর রহমান বাচ্চু , জসীম উদ্দিন , সালেহ করিমুজ্জামান। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পর্বের সূচনা হয়। যাঁদের প্রাণের বিনিময়ে পরাধীনতার সৃঙ্খল ভেঙে রক্তাক্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর জাতির জনক সহ জাতীয় চার নেতা , স্বাধীনতা সগ্রামের সকল বীর শহীদ , ভাষা শহীদ ,শহীদ বুদ্ধীজীবি , ত্রিশ লক্ষ আত্মউৎসর্গ শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন জসীম উদ্দীন , এরপর মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনাyস্বাগত বক্তব্য রাখেন সালেহ করিমুজ্জামান। জসীম উদ্দীন জাতি সংঘে সংযোজিত বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ” সকলের সাথে বন্ধুত্ব , কারো প্রতি বৈরীতা নয় ” এই নীতি মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। মোহাম্মদ নূর আবেগঘন স্মৃতিচারণে ” এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঘোষণায় মরণ যুদ্ধে লক্ষ কোটি প্রাণ কিভাবে আত্মহুতি দিয়ে মহান বিজয় ছিনিয়ে আনে তার বর্ণনা দেন। উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন ,বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্রকরে আবর্তিত হয়েছে এদেশের ইতিহাস , উন্মেষ ঘটেছিলো একটি জাতির জন্মগাঁথা। আর প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এশিয়ার টাইগার।সভাপতির বক্তব্যে মোয়াজ্জেম ইকবাল বলেন , একাত্তুরের ষোলোই ডিসেম্বরে মহান বিজয়ের স্বপ্ন তোরণে পৌঁছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সবশ্রেষ্ঠ অর্জন হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।স্বাধীনতার শহীদেরা যে মৌল চেতনার ভিত্তিত্বে বাংলাদেশ নাম রাষ্টের জন্মদিয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্যে- সম্প্রীতির জয় , মানবতার জয় , সততার জয় , ভোটাধিকার- ন্যায় বিচারের জয় নিশ্চিত করার আহবান জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংকৃতিক পর্বে কালজয়ী মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী পল্লী ইসলাম , মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তালাত চৌধুরী। লিপির অনবদ্য গীতিনিত্য সবাইকে নিয়ে যায় মাতৃভূমিতে। যাদের বিরামহীন প্রচেষ্টায় বিশাল বিজয়ানুষ্ঠান বিকশিত হয়েছে তারা হলেন শামসুস তোহা , আকম রুমেল , ফখরুল আহসান শেলী ,শাহজাহান কাজী। গৌরবের বিজয় ভোজনে যাদের কর্মতৎপরতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে তারা হলেন তাহের মিয়া , মইনুল , আলম , শাহিদ , নূর | নেপথ্যের প্রেরণায় ছিলেন আবিদ আমির, শাওন প্রজা, আজিজুর রহমান, সামসুর রহমান সামু।