ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই বছর জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য “আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ “এ স্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। লামা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে (১লা মার্চ) বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় র্যালী শেষে উপজেলা প্রশাসনের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লামা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে লামা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লামা উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়।
পরে উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার। সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশ, সাংবাদিক কামরুজ্জামান, সোনালী লাইফে কর্মরত কর্মকতা ও বীমা কোম্পানি পেশাজীবি সহ প্রমুখ।
জানাযায় দেশের পৌনে তিন কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের বীমার আওতায় রয়েছেন, যদিও অনেকে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন না। সাম্প্রতিক সময়ে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উদ্ভাবন-প্রচেষ্টা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বীমা শিল্প গনমানুষের আস্থার জায়গায় দাঁড়িয়েছে।
দেশীয় বেসরকারি এবং প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে এই বীমা শিল্পটি। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরুস্কার পেয়ে “সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স” দৃষ্টান্ত রেখেছেন।
এছাড়া সরকারি, বেসরকারি আরো বীমা কোম্পানীগুলোও গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনায় আইডিারএ অনুস্মরন করে, সনাতনী পদ্ধতি পরিহার করে আধুনিক পথে এগুচ্ছে”সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স”। এর ফলে বীমা শিল্প বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার পথে পা রেখেছে।
প্রসঙ্গত: জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একজন বীমা কর্মি ছিলেন। ১৯৬০ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন হাজার বছরের এই শ্রেষ্ট বাঙ্গালী।
বঙ্গবন্ধুর যোগদানের ওই দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার।