জুয়েল মাহমুদ উজ্জল, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
১৮ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং প্রয়াত কণ্ঠ শিল্পী কুষ্টিয়ার (নদীয়া জেলা) মামুন নদীয়া ছিলেন এ প্রজন্মের একজন জনপ্রিয় বাউল কণ্ঠশিল্পী। তিনি হরিপুরের বাসিন্দা তাহাজ্জত আলী ওরফে খোকা মিয়ার ছেলে মামুন নদীয়ার ডাক নাম মুক্তার। ১৯৬৪ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী আজকের দিনে জন্ম গ্রহণ করেন। তার গানের ছিল হাজারো ভক্ত। এখনও তার গান শ্রোতাদের কন্ঠে বেজে ওঠে মধুর সুরে। মেরিনা তুই আমায় কাদালি, আমি এক পতিতার প্রেমী, যারা ঘর ভাঙ্গা নারী, সারাটি জীবন দুঃখ হলো মোর সাথী সহ প্রায় শতাধিক গানের সুরকার ও গীতিকার তিনি নিজেই। গানের পাশাপাশি চিত্র শিল্পী হিসেবেও তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে বাউল সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ১১তম স্থান অর্জন করে ছিলেন। অল্প বয়সেই মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজারো ভক্ত অনুরাগী রেখে পরপারে পাড়ি জমান। তিনি ২০০৭ ইং সালের ৩১শে মে ইন্তেকাল করেন। বাউল সম্রাট লালনের তীর্থ ভুমি কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুরে দরবেশ রেজন শাঁহ’য়ের মাজারে গুরু রেজন শাঁহ’র অন্যতম অনুসারী কন্ঠ শিল্পী মামুন নদীয়া। মামুন নদীয়া ছিলেন বাংলারই এক নিভৃতচারী বাউল। সর্বদা ধবল রঙের গেরুয়া পরতেন। চশমা পরিহিত মুখটি ছিল শ্যামল নিষ্পাপ। কথাবার্তার ভঙ্গিটি অত্যন্ত বিনীত । বড় নিঃশব্দে তাঁর চলে যাওয়ার সময় দেশজুড়ে তেমন আলোরণ ওঠেনি । তিনি তো আর জাগতিক অর্থে‘ ধনী’ এবং ‘বিশিষ্ট’ ব্যক্তি ছিলেন না। মিডিয়া কখনও তাঁর পিছন পিছন দৌড়ায়নি, তাঁর খোঁজখবরও রাখেনি। তবে তাঁর স্বল্পকালীন জীবনটি পরিপূর্ণভাবে সার্থক হয়ে উঠেছিল। কেননা, জীবদ্দশায় তাঁর পরমের বোধ হয়েছিল। কিন্তু এই গুণী ব্যক্তির স্মৃতি সংরক্ষণে নেই কোন উদ্দ্যোগ। তাই মামুন নদীয়ার ভক্ত ও শুভকাঙ্খীদের দাবি মরমী গায়ক মামুন নদীয়ার স্মৃতি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক
এটাই তাদের দাবী।