শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

সৌদি আরবে সারকারখানা স্থাপন করবে বাংলাদেশ

উত্তর বাংলা
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৭ Time View

———————————————————হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃসৌদি আরবে একটি ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই কারখানা নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন শিল্পমন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সঙ্গে সৌদি আরবের হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।বুধবার ঢাকার মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিসিআইসির সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সমীর বিশ্বাস এবং হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম।খবর বাপসনিউজ ।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে সৌদি আরবের রিয়াদ হতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং সৌদি প্রতিষ্ঠান এইচএসসিসির সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম। বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরিফ মোহম্মদ মাসুদ আরব নিউজকে বলেন, সৌদিতে যে কারখানাটি নির্মাণ হতে যাচ্ছে, সেটিতে ডায়ামোনিয়াম ফসফেট সার প্রস্তুত করা হবে। প্রায় এক বছর ধরে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর বুধবারের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

‘ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ হতে সময় নেবে প্রায় ছয় মাস। রিপোর্ট আসার পরই সৌদি সরকারের সংঙ্গে কারখানা নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি বিষয়ক আলোচনা শুরু হবে। আমরা আশা করছি, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই আমরা কারখানা নির্মাণ করে উৎপাদন শুরু করতে পারব,’ আরব নিউজকে বলেন শরিফ মোহম্মদ মাসুদ।

বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের অর্ধেকই আসে কৃষি থেকে। কৃষি উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার অপরিহার্য, কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে গত কয়েক বছর ধরে চাহিদা অনুযায়ী সার উৎপাদন করতে পারছে না বাংলাদেশের কারখানাগুলো।

শরিফ মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘আমাদের বর্তমান যে চাহিদা, তার মাত্র ৩০ শতাংশ সার উৎপাদন করতে পারছি আমরা। জ্বালানি সংকটের কারণে অধিকাংশ কারখানা তার সামর্থ্য অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না।

সৌদিতে সার কারখানা নির্মাণের মূল কারণ—দেশটিতে জ্বালানি সহজলভ্য। যদি কারখানাটি প্রস্তুত করা হয়, তাহলে এটি হবে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে প্রথম বিদেশের মাটিতে নির্মিত কোনো কারখানা।

‘মূলত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্যই আমরা এই কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। সৌদি সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কারখানাটি প্রস্তুত করা গেলে আমাদের কৃষকরা খুবই উপকৃত হবেন। দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত্ব সার বিদেশে রপ্তানি করা হবে,’ আরব নিউজকে বলেন বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব।

শেয়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও
© All rights reserved © 2022 Uttorbangla24 live
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102