——————————————————হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃযুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি ঘোষণা করেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তার দল রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাইবেন।ভারতের পাঞ্জাব থেকে যাওয়া অভিবাসী বাবা-মায়ের ৫১-বছর বয়সী এই কন্যা একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেছেন যে এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের।এটা তার এক সময়ের নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি এক স্পষ্ট ইংগিত। মি. ট্রাম্প ছ’বছর আগে তাকে জাতিসংঘে মার্কিন দূত পদে নিয়োগ করেছিলেন।নিম্রতা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের অন্যতম মুখ হতে চলেছেন। আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছেন রিপাবলিকান সহকর্মী আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।খবর বাপসনিউজ।
বছর ঘুরলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এখন থেকেই। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থীরা নিজেদের মধ্য়ে লড়ে ঠিক করবেন কে যাবেন চূড়ান্ত পর্যায়ের লড়াইয়ে। নিকি যেমন সেই লড়াইয়ে নামছেন, তেমনই আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টও ট্রাম্পও এ বছর আবার লড়ছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য। তবে ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৬। নিকি ৫১। নিজেকে আমেরিকার নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসাবে তুলে ধরে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নিকি।নিকির পুরো নাম নিম্রতা নিকি রণধাওয়া হ্যালি। জন্ম দক্ষিণ ক্যারোলিনাতেই। অর্থাৎ জন্মগতভাবে আমেরিকারই নাগরিক তিনি। তবে নিকির বাবা-মা দু’জনেই ভারত থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন অভিবাসী হিসাবে। বাবা অজিত সিংহ রণধাওয়া ছিলেন পঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। মা রাজ কউর রণধাওয়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্রী। দু’জনেই অমৃতসরে থাকতেন। পরবর্তীকালে আমেরিকার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়ে কানাডায় আসেন তারা। পরে আমেরিকার দক্ষিণের কলেজে অধ্যাপকের চাকরি পেয়ে থেকে যান। নিম্রতার জন্ম ওই আমেরিকার এই প্রদেশেই। তার মা-ও আমেরিকায় এসে শিক্ষকতা করেছেন। পরে নিজেদের পোশাকের ব্যবসাও শুরু করেন তিনি। নিকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর মায়ের ব্যবসায় সাহায্য করেছেন দীর্ঘ দিন।আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিম্রতা বলেছেন, ‘আমি অভিবাসী বাবা-মায়ের গর্বিত সন্তান। কৃষ্ণাঙ্গ ছিলাম না। আবার শ্বেতাঙ্গও বলা যাবে না। আমি ছিলাম নিজের মতো। একেবারে আলাদা। কিন্তু আমার মা আমায় শিখিয়েছিলেন, এই পার্থক্যে মন না দিতে। বরং বলেছিলেন, কোথায় এ দেশের সঙ্গে আমার মিল তাতে মনোনিবেশ করতে।’৫১ বছর বয়সী হ্যালি দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ছিলেন। এছাড়া ট্রাম্পের আমলে তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।