ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক :
লোহাগাড়ায় প্রতিষ্টাবার্ষিকীতে বক্তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে যুগান্তর পাঠকের হৃদয় জয় করেছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে দৈনিক যুগান্তর পাঠকের হৃদয় জয় করেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে যুগান্তরের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমি বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রের উন্নয়ন-বিনির্মাণে পত্রিকাটির ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। অতীতে পত্রিকাটি অকুতোভয়ে জনগণের কথা বলেছে এবং ভবিষ্যতেও বলবে। লোহাগাড়ায় দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্টাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল।
(০৬ফেব্রুয়ারী) সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা বিআরডিবি হল রুমে কেক কেটে দৈনিক যুগান্তরের ২যুগ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক। সাংবাদিক কাইছার হামিদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদ বেঙ্গল, বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফয়েজ উল্ল্যাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য এরফানুল করিম চৌধুরী, দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ এরফান, লোহাগাড়া ব্রীকফিল্ড মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ সরওয়ার আলম কোম্পানী, লোহাগাড়া জাতীয় শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক নুনু ও পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডাঃ জাহাঙ্গীর পাভেল, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, যুবনেতা জিহানুর রহমান চৌধুরী, আবু বক্কর মেম্বার ও সাংবাদিক এরশাদ হোছাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তরের লোহাগাড়া প্রতিনিধি নাজিম উদ্দীন রানা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দৈনিক যুগান্তর পরিবারের কাছে আমাদের চাওয়া যে কোনো পরিস্থিতিতেই দৈনিক যুগান্তর পাঠক সাধারণকে সঠিক তথ্য ও সত্য জানানোর সাহসী ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে এবং অব্যশই দৈনিক যুগান্তর সব সময়ই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে।
লোহাগাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদ বেঙ্গল বলেন, যুগান্তরের প্রতিষ্টাতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সৎ এবং সাহসী মানুষ ছিলেন। নুরুল ইসলাম চেয়েছিলেন দৈনিক যুগান্তর সাহসের সঙ্গে পথ চলুক। কাগজটি শুরু থেকে সাহসের সঙ্গেই পথ চলেছে। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নুরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেছেন। তার শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। আমার বিশ্বাস নুরুল ইসলামের দেখানো পথ ধরে যুগান্তর আরও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক বলেন, আমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাটির ভক্ত। জনগণের সামনে প্রকৃত সংবাদ এবং খবরের মর্মকথা সত্যনিষ্ঠভাবে তুলে ধরায় কাগজটি প্রথম থেকেই সচেষ্ট রয়েছে। নানা বিধিনিষেধ এবং বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও এ চেষ্টাটি যুগান্তর সাহসিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে যা নিঃসন্দেহে প্রসংশা যোগ্য।