ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের লামায় ফাইতং হিন্দু পাড়া সমাজ ও মন্দির উন্নয়ন কমিটি ও রাধা কৃষ্ণ সংঘের উদ্যোগে, সার্বজনীন শ্রী শ্রী বানী অর্চ্চনা পুজা অনুষ্ঠানে ফাইতং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি ডাঃ সজল কুমার সুশীল সভাপতিত্বে গত (২৬ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক, পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শামিম শেখ, হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইমন চৌধুরী, আওয়ামিলীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বিপ্লব, যুবলীগ সভাপতি বাবু থোয়াই সানু মার্মা, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি থোয়াইম্রা মার্মা, সরস্বতী পুজার সভাপতি তাপস শর্মাসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেত্রীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মূল ব্যাখ্যা হচ্ছে মানব সেবা। মানবের মাঝেই আল্লাহ-ঈশ্বরের অধিষ্ঠান রয়েছে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত, অসচ্ছল এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করাই হচ্ছে প্রকৃত ধর্ম। সার্বজনীন অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে উঠুক প্রাণময় প্রাণোচ্ছ্বল- এই কামনা করছি।
অনুষ্টানে ডাঃ সজল কুমার সুশীল বলেন, জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী, বিভিন্ন নামে, যথা, বাগদেবী, বীনাপানি, সারদা, এবং অন্যান্য নামে অভিহিতা এবং এসব নামের মাহাত্ম্য নিয়ে, ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ রয়েছে। এরকম ধারণা করা হয়, যখন কেউ দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদ ধন্য হয়ে উঠেন, তখন তাঁর মাঝে প্রকৃত জ্ঞানের উন্মেষ ঘটে। যিনি, প্রকৃত জ্ঞানী, তাঁর মুখনিঃসৃত বাক্য, বাণীর মর্যাদা লাভ করে। যেমন, কথিত আছে, মহামূর্খ কালিদাস, দেবীর অসীম কৃপা লাভে সক্ষম হয়ে, দেবীকে সংস্কৃত ভাষায় বন্দনা করেছিলেন, মহাকাব্য রচনা করে, মহাকবি হয়ে উঠেন।
যদিও, সরস্বতী নামটি অধিক প্রচলিত, তথাপি দেবীর বরে, মহত্বপূর্ন বাক্য বা সুললিত বাক্যের অধিকারী হওয়ার কথা মাথায় রেখেই, সরস্বতীর পূজো কে, বাণী অর্চনা বলা হয়। বা, বাণী বন্দনা ও বলা হয়। এর অন্তর্নিহিত ভাব, সরস্বতীর পুজো। ছোটবেলায় আমাদের স্কুলে সরস্বতীর পুজোর যে চিঠি ছাপাতাম, তাতে অনুষ্ঠান সূচীতে, লিখতাম, “বাণী বন্দনা”।
যেভাবেই ব্যবহৃত হোক, বাণী বন্দনা বা বাণী অর্চনা শব্দ দুটির মূল উদ্দেশ্য, সরস্বতী দেবীর পূজা।এই অনুষ্ঠান সকলের সহযোগিতায় আমরা এইপুজা সুন্দর ও সফল করতে সক্ষম হয়েছি সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান।
সরস্বতী পুজার সভাপতি তাপস শর্মা বলেন, পূজা অনুষ্ঠান সফল ভাবে শেষ করতে পেরে। অতিথি ও উপস্থিত সবাই কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়।