মাহফূজুল করিম,লামা প্রতিনিধি
মুহাম্মদ এমরান একজন কবি, লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী। বর্তমানে তিনি বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছাতে বাস করেন। তার জন্ম লামা উপজেলার ০৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২৮৪ নং ইয়াংছা পোয়াংবাড়ী গ্রামে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন অংহ্লারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে, নিম্ন মাধ্যমিক শেষ করেছেন ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এরপর লামা উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি মাতামুহুরি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। এরপর ডিগ্রিতে ভর্তি হোন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নবম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় ছোট একটি ছড়ার মাধ্যমে লেখালেখি শুরু করেন। তার লেখা প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় অনলাইন পত্রিকা ‘RMC News’ এ। এরপর থেকে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন পাঠকপ্রিয় পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা লেখেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার লামা উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক জাতীয় আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক জাতীয় প্রথম কথা প্রত্রিকার লামা উপজেলা প্রতিনিধি,পাশাপাশি অনলাইন পত্রিকা ‘RMC News’ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমাদের নতুন সংবাদ পত্রিকায় উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে রয়েছেন।
এবারের একুশে বই মেলায় (২০২৩) মুহাম্মদ এমরান এর প্রথম কবিতার বই ‘অনুভূতির সুর’ বইমই প্রকাশনী থেকে আসছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন বইমই প্রকাশনীর প্রকাশক এমদাদুল হক । বইটির মুল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা।
অমর একুশে বইমেলার লিটিল ম্যাগ চত্বরে ৩৯ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।
বইটি সম্পর্কে তরুণ কবি ও সাংবাদিক মুহাম্মদ এমরান বলেন, ‘যেহেতু এইটা আমার প্রথম কবিতার বই তাই আমি কিছু বলবো না। বইটি পড়ে পাঠকের কথা শুনবো। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। ভুল ত্রুটির দায়ভার আমার। ভালো মন্দের বিচার পাঠকের’। তবে আমি একটি কথা বলতে পারি, আমার বইয়ে দেশ, জাতি, প্রকৃতির বিষয়বস্তু গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, আমার বইয়ে রয়েছে প্রেম বিরহের কবিতা, সামাজিক কবিতা, রোমান্টিক কবিতাসহ প্রকৃতির নানান রূপের নানান কবিতা।আশা করছি,পাঠকের মনে খোরাক জোগাবে।
লেখক মুহাম্মদ এমরান, এলাকাবাসীসহ দেশের সকলের দোয়া ও ভালোবাসা চেয়েছেন।
তার কবিতার কিছু ছন্দ,
“জবাব দিবো ছন্দে ছন্দে
কবিতা লিখবো নির্জনে,
মন্দ ভাষা ভুলে গিয়ে
ভালোবাসবো আনমনে।”
“এক মুঠো কাঠগোলাপ দিও আমায়
আবছা নীল সাদা কালো,
আমার অনুভূতির সমস্ত সুর গুলো দিয়ে
তোমাতে রাঙ্গিয়ে দিবো আলো।”
“বান্দরবানের পাহাড় গুলো
দেখতে অনেক সুন্দর,
গাছগাছালির আড়ালেতে
লুকায়িত আছে অন্তর।”
“তুমি আমার একটি মাত্র কবিতার বই হও
আমি সারাজীবন পাশে রাখিবো,
তুমি আমার একটি মাত্র একক গ্রন্থ হও
আমি নৃত্য নতুন প্রচ্ছদ আঁকিবো।”
তার এই কৃতিত্ব দেখে এলাকাবাসী তথা লামাবাসীসহ দেশ বিদেশের অনেকেই খুশি হয়েছেন, জেলা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার হাজার হাজার পাঠক রয়েছে, মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে অনেকে অভিনন্দনসহ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।