সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের কৃতিসন্তান, দেশ বরেণ্য সাংবাদিক ও কলামিস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি।
আজ রবিবার ( ০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির নিজস্ব কার্যালয়ে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সহসভাপতি সেলিম আহমদ তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রজত কান্তি সোম (মানস)।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান পীর, রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি আল-হেলাল, সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি শেখর ভদ্র, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি মাসুম হেলাল, মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরানুল হক চৌধুরী, দৈনিক আজকালের জেলা প্রতিনিধি আমিনুল হক, সাংবাদিক শামছুল কাদির মিসবাহ।
এসময় বক্তারা বলেন, পীর হাবিবুর রহমান একজন সাহসী কলম সৈনিক ছিলেন। সাহসিকতা দিয়ে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের জন্য লিখেছেন, সমকালীন বিষয়ে তার ক্ষুরধার লেখনি দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিত। তার লেখায় সমাজের কালো শক্তি সবসময়ই ক্ষুব্ধ হত। তিনি তাদের চোখ রাঙানীকে ভয় পেতেন না। স্বাধীনতার সপক্ষে তার অবস্থান ছিল আমৃত্যু। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। মানুষের বিপদে মানুষের উপকার করার প্রবণতা ছিল তাঁর মাঝে।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য দিলাল আহমেদ, শাহরিয়ার সুমন, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি কর্ণ বাবু দাস, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মোশাহিত রাহাত, ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি মনোয়ার চৌধুরী, দৈনিক জাগরণের জেলা প্রতিনিধি পীর জুবায়ের, রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য আশীষ রহমান, আব্দুল কাইয়ূমসহ সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ছাড়াও সুনামগঞ্জে কর্মরত
অনেক সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পীর হাবিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন সাংবাদিক মাওলানা আমিনুল হক।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পীর হাবিবুর রহমান। তিনি ১৯৬৩ সালের ১২ নভেম্বর সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ রইছ আলী পীর ও মা সৈয়দা রাহিমা খানম। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের সপ্তম সন্তান।###