উত্তর বাংলা সংবাদ
দোয়ারাবাজারে সীমান্ত এলাকায় চেলা নদীর তীরে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের রেকর্ডীয় ভূমির কবরস্থান ও বসতভিটে থেকে জোরপূর্বক বালি উত্তোলন এবং বাধা দেওয়ায় মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তা ও প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত রাশিদ আলীর পুত্র (মারপিটে জখমী) আরজ আলী।
লিখিত বক্তব্যে আরজ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই ইউপির দৌলতপুর গ্রামের মৃত শাহাদ উল্লাহর পুত্র আব্দুল মালিক, আব্দুস শহীদ, আব্দুল হেকিম, মৃত রহিম উল্লাহর পুত্র আব্দুল মজিদ, শফিক মিয়া, মৃত শমসের আলীর পুত্র আব্দুল হামিদ, মন্তাজ নগর গ্রামের মৃত আকবর আলীর পুত্র উমর আলীসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চেলা নদীর তীরবর্তী কবরস্থান ও বসতভিটে থেকে বালি উত্তোলন করায় মুক্তিযোদ্ধা সোনাফর আলীর কবরস্থান এবং ভিটেমাটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সংঘবদ্ধ চক্র একত্রিত হয়ে বালি উত্তোলন করার সময় বাধা দিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায় এবং বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা নিরীহ মানুষ। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।