দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের সুড়িগাও গ্রামের -মোঃ ফজলুল হকের স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম (৫০) তার ছেলে ও ছেলের বউদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার সময় ছেলে মোঃ পলাশ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ আয়াতুন নেছা (২০)মারামারি
ঠেকাতে এলে সেলোয়ার কামিজ ও পড়নের শাড়ী কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ও বেধড়ক মারপিট করে হামলাকারীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের সুড়িগাও। গ্রামে। এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে দোয়ারাবাজার থানায় অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী মোঃ ফজলুল হকের স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম (৫০। বর্তমানে তারা দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আসামীরা হলেন, মোঃ মরম আলী (৪০), ২। মোঃ জাকির হোসেন (৫৫), ৩। মোঃ ছিদ্দিক আলী, ৪। মোঃ ফারুক মিয়া (১৮), সর্ব পিতা-মোঃ মতিন মিয়া, ৫। মোঃ মতিন মিয়া (৭০), পিতা-মৃত অজ্ঞাত, সর্ব সাং- সুড়িগাঁও, ইউ/পি-০৭নং লক্ষীপুর, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জ ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ও মনোমালিন্য চলছিলো,বিরোধ ও মনোমালিনন্যের এক পর্যায় গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা,লোহার বড়,দা,ছ্যান,চাপাতি দেশীয় নিয়ে -মোঃ ফজলুল হকের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পাঁকা ঘর তৈরীর জন্য চেষ্টা করিলে মোঃ ফজলুল হকের স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম (৫০)পাঁকা ঘর তৈরী ও গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে মোছাঃ আনোয়ারা বেগমের ওপর হামলা করে, মারধরের এক পর্যায় ছেলে পলাশ মিয়া(২৪) ও তার স্ত্রী মোছাঃ আয়াতুন নেছা (২০) ছেলে মোঃ সফর আলী (২০) এগিয়ে আসলে তাদের কেও মারধর করে।হামলার সময় ছেলে মোঃ পলাশ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ আয়াতুন নেছা (২০)মারামারি ঠেকাতে এলে সেলোয়ার কামিজ ও পড়নের শাড়ী কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ও বেধড়ক মারপিট করে হামলাকারীরা। পরে তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে বিবাদীগন তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযোগ কারী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম বলেন, বিবাদী গন অনেক ক্ষমতাধর ও খারাপ প্রকৃতির লোক, তারা যে কোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে,পরিশেষে তিনি প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচারের দাবি জানান
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন,তদন্ত চলছে,তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।