ডেক্স নিউজ
বিশ্বের প্রভাবশালী, ধনী রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য পাত্রকে বিয়ে করতে আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে পাত্রীসহ পাত্রীর পরিবারের লোকজন। এ জন্য লাখ-লাখ টাকাও ব্যয় করেন। শুধু কি তাই! বিয়ে উপলক্ষে পাত্রী ও পাত্রীর পরিবারের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ঘটক সেজে হাতিয়ে নেয় নগদ অর্থ। তারপরই ঘটে আসল ঘটনা। প্রকাশ করেন নিজের আসল রূপ। হঠাৎ পাত্র এবং ঘটক উধাও হয়ে যান। কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের।
সুনামগঞ্জের ছাতকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী পাত্রের মামা সেজে ঘটকের সহযোগীতায় অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক চক্র। রোববার উপজেলার একটি গ্রামে পাত্রী দেখতে ওই যুক্তরাজ্য প্রবাসী পাত্রকে নিয়ে আসার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে তারা না আসায় ঘটক ও পাত্রের মামার মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, গত বুধবার পাত্রীর বাবার কাছে লন্ডনি পাত্রের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন সিলেটের লামাকাজী এলাকার ঘটক সাজান মিয়া নাম পরি য়ে একজন। তিনি পাত্রের নাম ঠিকানা দিয়ে যান। পাত্রের ঠিকানায় পাত্রী পক্ষ খোঁজ খবর ও নিয়েছেন। এর পর ঘটক সাজান মিয়া পাত্রের মামা পরিচয়ে একজনকে নিয়ে আসেন।
ঘটক সাজান মিয়া পাত্রীর বাবাকে বলেন পাত্রের মামার সম্মতি থাকলে এ বিয়েতে আর কোন বাধা থাকবেনা। পাত্রকে নিয়ে শনিবার পাত্রী দেখতে আসবেন তারিখও দিয়ে যান। কিন্ত শনিবার পাত্রকে নিয়ে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে পাত্রী পক্ষ ঘটক সাজন মিয়া’র ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭০৬৯৬৪৭১৭ নাম্বারে কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর পাত্রের মামার মুঠোফোন ০১৭২৪১৫৫০০৫ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব করেননি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ঘটক সাজন মিয়া পাত্রের মামার সম্মতির কথা বলে আগেই দু’দফায় হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
জানা যায়, প্রতারকদের পাতা ফাঁদে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ধরা দিচ্ছেন। এরকম ঘটনা হরহামেশা ঘটছে উপজেলায়। ভুয়া প্রবাসী পাত্রকে বিয়ে করার নামে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন নিরীহ পাত্রী ও পরিবার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই প্রতারক চক্রটির ফাঁদে পা দিয়ে অনেক পরিবার সর্বশান্ত হয়েছেন। এদের ফাঁদে পড়ে কেউ অর্ধ লাখ, কেউ ২ লাখ কেউ বারো ৫ লাখ এভাবে লাখ লাখ টাকা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি।
সিটিজেন পাত্র সাজিয়ে ঘটকরা বিভিন্ন পাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। চটকদার কথাবার্তা বলে পাত্রীপক্ষের লোকজনকে রাজি করে ফেলেন। একই পাত্রের জন্য একাধিক পাত্রীর সঙ্গেও চলে বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা। অনেক ক্ষেত্রে ঘটকরা যে পাত্রী পক্ষের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করা যাবে তাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছক ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য জানান, আমদের মত আর কেউ যেনো প্রতারন শিকার না হন ঘটনা বা গল্পটি জানাজানি হলে অন্যরা সচেতন হবেন। পাশা-পাশি বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহনের প্রস্ততি নিচ্ছি। এ বিষয়ে সাজন মিয়া’ পরিচয়ে দেওয়া মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার যোযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে লন্ডনি পাত্রে মামা পরিচয়ে দেওয়া মুঠোফোন নাম্বাওে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে রিসিব করেননি। এ বিষয়ে ছাতক থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।