স্টাফ রিপোর্টার
দোয়ারাবাজার উপজেলার ২নং নরসিংপুর ইউনিয়নের মন্তাজনগর গ্রামের ইসরাইল আলীর পুত্র (৪৫) ১৭ জানুয়ারী রোজ মঙ্গলবার রাত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিলেটের উসমানি নগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ষাটদা এলাকা থেকে উসমানি নগর থানা পুলিশের সহাযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করে ছাতক থানা পুলিশের একটি বিগ টিম।সুতারং কয়দিন আগে এ মামলায় গত ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী সবতুন বেগম ও ৭ ডিসেম্বর নিহতের আপন ভাই আলী হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী স্বেচ্ছায় আদালতে তার স্বামীর হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর ক্লোলেস এ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়। এ সময় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আবুল হোসেনের ভাই আলী হোসেন, তার স্ত্রী সবতুন বেগম ও স্ত্রীর পরকীয়াহ প্রেমিক সাবুল মিয়াসহ ১০-১২ জন মিলে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে তাহাকে হত্যা করা হয় আবুল হোসেন কে,পরে তার লাশ পার্শবর্তী গোয়াবিল নামক হাওরের পাশে একটি জঙ্গলে লাশটি ফেলে দেওয়া হয়।
জানা যায় ছাতক উপজেলার ১ নং ইসলামপুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে আবুল হোসেন গত ২১ অক্টোবর তার বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
ঘটনার ২৪ দিন পর গত ১৫ নভেম্বর গোয়াবিলের হাওরের পাশের জঙ্গল থেকে তার লাশের একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে ছাতক থানা পুলিশ। পরে উক্ত লাশটি আবুলের বলে শনাক্ত করে পরিবার বর্গ।
অতএব নিহতদের স্ত্রী সবতুন বেগমও ভাই আলী হোসেনকে গ্রেফতার করে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে ছাতক থানা পুলিশ।
পরকীয়া প্রেমিকা নিহত আবুল হোসেনের স্ত্রী সবতুন বেগমকে গ্রেফতারের পর প্রেমিক সাবুল মিয়া আত্মগোপনে ছিল এত দিন ।
সর্বশেষ তথ্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১৭ জানুয়ারী রাতে এ হত্যাকান্ডের মুল হোতা পরকীয়া প্রেমিক আবুল হোসেন কে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জে জে ল হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ মাঈনুল জাকির তিনি বলেন আসামিকে বুধবার ১৮ জানুয়ারি আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ আমরা সক্ষম হয়েছি।