ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে ফকিরটিলা মৌজায় বিজিবি ক্যাম্পের পাশে চেলা ও সুরমা নদির তীর সংলগ্ন ২৬ শতক ভুমি নিয়ে ফকিরটিলা গ্রামের একপক্ষ ও বাগবাড়ি গ্রামের এক পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দু'পক্ষের লোকজন।যেকোন সময় ওই জমি নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।এ ভুমি নিয়ে আদালতে ২ টি মামলা ও দায়ের করেছেন বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুস শহিদ।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে থানা পুলিশ ভুমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেছে। এরপরও ফকির টিলা গ্রামের একটি পক্ষ ভুমি জবর দখলের বিভিন্ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুস শহিদ এক সংবাদ সন্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। তিনি জানান,১৯৭৭ ইং সনে ৬৬০০ দলিলে বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুস সোবহান ও একই সনে ৬৪৭৯ দলিলে আব্দুস সোবহানের পুত্র ভানু মিয়া ২৬ শতক ভুমির ক্রয় সুত্রে মালিক ও দখলকার। তারা দীর্ঘদিন উক্ত ভূমিতে বালু-পাথর ড্রামিং করে ব্যবসা করেছেন। আব্দুস সোবহান মারা যাওয়ার পর উত্তরাধিকার সূত্রে তার পুত্রগণ ভুমির মালিক হয়েছেন। কিন্তু গত ২ বছর ধরে বালু-পাথর ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ায় ওই ভুমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে ফকির টিলা গ্রামের ফারুক মিয়া,ইলিয়াছ মিয়া,বাহারুল হক,এস এম কয়েছসহ কতিপয় লোকজন ভুমিতে ইট-বালু ড্রাম্পিংও জমি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এতে আপত্তি জানান,আব্দুস সোবহানের পুত্র আব্দুস শহিদ। প্রতিপক্ষরা এখন ওই মুল্যবান ভুমির দখল ছাড়তে নারাজ। তারা স্থায়ীভাবে ভুমি দখলে নিতে নানা ধরনের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। একাধিক বার ওই ভুমি তাদের কাছে বিক্রি করারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
আব্দুস শহিদ জানান,তাদের নামে নামজারিকৃত শারপিন টিলা সংলগ্ন নদীর পাড়ের ভুমি দখলে নিতে কাটাতারের বেড়া ও দিয়েছে প্রতিক্ষের লোকজন।
তারা বাব-বার তার কাছে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা ও দাবি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গত ৭ জানুয়ারি তাদের ভুমি দেখাশোনা করতে যান তিনি ওই সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি আব্দুস শহিদ বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ফকিরটিলা গ্রামের ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ভুমিতে অটো স্ট্যান্ড বসিয়ে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা আদায় এবং ভুমি মালিকের কাছে চা্ঁদা দাবির অভিযোগ এনে ফকির টিলা গ্রামের ফারুক মিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের আমলগ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন আব্দুস শহিদ। এতেও তারা কান্ত হয় নি।স্থানীয় সালিশএকাধিক বার উপেক্ষা করেছে ফারুক মিয়াসহ দখলদাররা। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেছেন আব্দুস শহিদ। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মকবুল আলী, হাজী আবুল হায়াত,আব্দুল কাহহার,একঅরামুল হক,এমদাদুল হক ও ফকির টিলা শাহ আরেফিন মোকামের খাদেম সুনু মিয়া।