সাংবাদিক বিষুর দায়ের করা ডায়েরী সুত্রে জানা গেছে- সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল তার পূর্ব শত্রুতা ও অবৈধভাবে অর্থ লুটের লোভে জের ধরে গত ২২/১২/২২ ইং তারিখে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বরাবরে সাংবাদিক বিষুর অজান্তে তার নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে তাকে ক্লাপনিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে মনোনীত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আরোও একাধিক অভিযোগ দায়ের করে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির।
গত ২৬/১২/২২ইং তারিখে রাত অনুমাণ ১০:৩০ ঘটিকায় বিষয়টি সাংবাদিক বিষুর দৃষ্টিগোচর হইলে তিনি তাৎক্ষণিক সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অজান্তে মিথ্যা ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে তাকে সাক্ষী দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি প্রদর্শন করে যে,তিনি না কি কাদের নিকট হইতে টাকা খেয়ে এখন উল্টো-পাল্টা কথা বলছেন এবং “উক্ত বিষয়ে তার পক্ষে সাক্ষী না দিলে অন্যান্য ব্যাক্তিদ্বয়ের মতো সে না কি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে।তার অজান্তে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের দাখিল করা অভিযোগ সম্বন্ধে সাংবাদিক বিষু মোটেও কোন কিছু জানে না কিংবা তাকে সাক্ষী হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করার বিষয়টি তার বোধগম্য নয় বিধায় উক্ত বিষয়ে সাংবাদিক বিষু শাহপরান (রহঃ) থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক বিষু জানান- সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল সিলেটের মূলধারার কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আমার অজান্তে আমাকে সাক্ষী হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেই যাচ্ছে এবং উক্ত অভিযোগ গুলোর সুত্র ধরে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুক লাইভে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল আমি সহ ওই গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সর্বশেষে এই অপপ্রচারকারী সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান অপপ্রচার ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ এনে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল সহ ২/৩ জনের বিরুদ্ধে গত শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) শাহপরান (রহ.) থানায় একখানা সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন প্যারাগন প্রপার্টিজ লিঃ, বি-০৪, মেজরটিলা এলাকার মৃত মফিকুল হকের পুত্র জসিম উদ্দিন (৩৬), যাহার থানার ডায়েরী নং- ১৫৪৩।
জসিম উদ্দিনের দায়ের করা ডায়েরী সুত্রে জানা গেছে- সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল সাংবাদিক নামধারী একজন প্রতারক। সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল সহ তার অপরাপর ২/৩জন সহযোগী সিলেটের বিভন্ন থানায় ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন ধারার একাধিক মামলার আসামি। সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল প্রতারনার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনিবন্ধিত অনলাইন পোটালে লোকজনের বিরুদ্ধে ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করে লোকজনকে জিম্মি করে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করে। বিগত ০৭/১১/২২ ইং তারিখে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল মুক্তির-৭১ নিউজ ডট কম অনলাইন পোর্টালে জৈনিক হানিফের বিরুদ্ধে "ডাকাত হানিফ এখন সাংবাদিক: বিব্রত সাংবাদিক সমাজ!" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদটি প্রকাশের পর পরই সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল নিজের প্রাণ রক্ষার্থে জৈনিক হানিফকে অভিযুক্ত করে শাহপরান (রহ.) থানায় একখানা সাধারণ ডায়েরী দায়ের করে, যাহার ডায়েরী নং- ১৯৩/তাং- ০৪/১২/২০২২ ইং। পরবর্তীতে জৈনিক হানিফের সঙ্গে মিলে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল বিগত ২২/১২/২০২২ইং তারিখে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বরাবরে এই মর্মে একখানা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে জৈনিক হানিফের বিরুদ্ধে নিউজটি প্রকাশ করতে তিনি তাকে না কি প্ররোচিত করেছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমি সহ অন্যান্য ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল মিথ্যা মানহানিকর তথ্য ও কুৎসা রটাচ্ছে। এ সমস্থ ঘটনার সহিত বিন্দুমাত্র সম্পিকততা নেই বলে তিনি জিডিতে উল্লেখ্য করেন। বিগত ২৯/১২/২০২২ ইং তারিখে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের ফেসবুক আইডিতে ও বিভিন্ন ভূূয়া অনলাইন পোর্টালে তার বিরুদ্ধে করা ভেজাল ফয়ছলের মানহানিকর কিছ সংবাদ তার দৃষ্টিগোচর হয়। পরদিন অথাৎ ৩০/১২/২০২২ ইং তারিখে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলসহ তার অপরাপর ২/৩ জন সহযোগীকে শাহপরান মাজার গেইটে পেয়ে জিজ্ঞাসা করিলে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলসহ তার অপরাপর ২/৩ জন সহযোগী তার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার বন্ধের জন্য উৎকোচ দাবি করে অন্যথায় তাকে প্রাণে মারা সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাবে বলে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন জানান- সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমি সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মানহানিকর তথ্য ও কুৎসা রটাচ্ছে। এ সমস্থ ঘটনার সহিত আমার বিন্দুমাত্র সম্পিকততা নেই। তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে উৎকোচ দাবি করে অন্যথায় আমিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদ্বয়কে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় এই অপপ্রচারের মেশিন ভেজাল ফয়ছলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আহ্বান জানাচ্ছি।
অনুসন্ধানে ভেঁসে ওঠে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের নৈপথ্যের বিরল কাহিনী। জানা গেছে- বিগত ২০১১ সালের (০৬ সেপ্টেম্বর) সিলেটে আলোড়ন জাগানো ঘটনা কানাইঘাট থানাধীন গাছবাড়ি সড়কের মাছুখাল বাজারের খাদিজা তার খালা শিফা বেগমের বাড়ি সরদারমাটি যাওয়ার জন্য পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের সিএনজি গাড়িতে ওঠেন। পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাধে সহজ সরল মেয়ে খাদিজা বেগমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার খালার বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে তাকে সিলেট শহরের তালতলাস্থ হোটেল সুফিয়ার ১৩৩ নং কক্ষে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাত ০৯ ঘটিকা হইতে সকাল পর্যন্ত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল। পরবর্তীতে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন লোকের ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ সহ মেসেঞ্জার মারফতে ভাইরাল করে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল। এক পর্যায়ে উক্ত ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি অপপ্রচারের মেশিন সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের। খাদিজা বেগম বাদী হয়ে বিগত ২০১১ সালের (২৩ সেপ্টেম্বর) সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং- ৪১০/১১ ইং। মামলা দায়ের পর দিনই অথাৎ বিগত ২০১১ সালের (২৪ সেপ্টেম্বর ) অপপ্রচারের মেশিন সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছলকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। দীর্ঘ নয় মাস কারাভোগ করে বিগত ২০১২ সালের (১০ই জুন) জামিন পায় অপপ্রচারের মেশিন সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল, ধর্ষণের মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
এছাড়াও বিগত ৯ জুলাই ২০২১ সনে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেটে পুলিশ কর্তৃক তার মোটরসাইকেল আটকের পর ফেসবুকে লাইভ করে সে নিজেকে কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কতর্ব্যরত পুলিশে বিরুদ্ধে চালায় নানা মিথ্যা প্রপাগান্ডা। পরে রোববার রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন ওই পুলিশ সদস্য,যাহার মামলা নং-০৫/২০২১ইং। তবে সে কিছু দিন আত্মগোপনে থাকার পর (১৪ জুলাই) ২০২১ সনে মধ্যরাতে সিলেট সদর উপজেলার পীরেরবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে পূনরায় কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে সিলেটে বেপরোয়া তান্ডব চালাচ্ছে সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল।
সিলেটের অপপ্রচারের মেশিন সিএনজি চালক ফয়ছল কাদির ওরফে ভেজাল ফয়ছল সাংবাদিক পরিচয়ে কলঙ্কিত করছে সিলেটের মূলধারার সাংবাদিক সমাজকে। অন্যদিকে লোকজনকে হয়রানি ও ব্লাকমেইল মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কোথায় তার খুঁটির জোর জানতে চায় সিলেটের মূলধারার সাংবাদিক সমাজ? আর কেন তাকে গ্রেফতার করে নেওয়া হচ্ছে না আইন অনুসারে ব্যবস্থা প্রশ্ন সচেতন মহলের?