বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : দেখা মিলছে না সূর্যের। গত দু’দিন থেকে ঘন কুয়াশা, বইছে হিমেল হাওয়াও। এর সাথে যোগ হয়েছে পৌষের এক পশলা বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
সিলেটের বিশ্বনাথে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু উপজেলার মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ দিকে দু’দিনের এক পশলা বৃষ্টিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন সবজির। ব্যহত হচ্ছে চলমি মৌসুমের বোরো আবাদ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরো উপজেলা জুড়ে নেমেছে শৈত্যপ্রবাহ। প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে অনেক এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। হাট-বাজারে উপস্থিতি কমেছে মানুষের। উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষদের।
এদিকে দিকে চলতি বোরো মৌসুমের জমি প্রস্তুত হলেও চারা রোপনের জন্যে মাঠে নামতে পারছেন না কৃষকরা।
ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রমও। শীত-বৃষ্টিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেকের সবজি ক্ষেতের। নষ্ট হয়েছে বীজতলাও।
সদরের দিনমজুর বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা দিনে আনি দিনে খাই। প্রতিদিন কাজ না করলে চলে না সংসার। এখন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আর কুয়াশার কারণে যেতে পারছি না কাজেও।
উপজেলার সবজি চাষী আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘কুয়াশা আর বৃষ্টিতে আমার সবজি ক্ষেতের এক তৃতীয়াংশ সবজি নষ্ট হয়েছে। দশঘর ইউনিয়নে সফল কৃষক লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদের পরিকল্পনা নিয়েছি ক্ষেত প্রস্তুত হলেও ঠাণ্ডার কারণে চারা রোপণে বিলম্ব হচ্ছে।
উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডেকেল অফিসার রাজীব বৈষ্ণব জানান, শীতের কারণে বর্তমানে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বহিঃবিভাগে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। ভর্তি রোগীদের মধ্যেও বেশি ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান সরকার বলেন, শীতার্থ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্যে শীতবস্ত্র (কম্বল) এসছে। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও আশ্রয়ণপ্রকল্পে কিছু বিতরণও করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।