মুহাম্মদ আফজাল হোসেন
বন্যার জলে সিলেট সুনামগঞ্জের ঈদ বৃষ্টিস্নাতে বিষাদময়।ঈদ বৃষ্টির জলে আর চোখের জলে একাকার।ঈদের সুখ না কাটিয়ে দুঃখ নিয়ে সিলেট সুনামগঞ্জের অনেক পরিবার উনুনে আগুন জ্বালাতে পারে নাই।
সিলেট জেলার উপশহর,কানাইঘাট,জকিগঞ্জ,
গোলাপগঞ্জ,বিয়ানীবাজার,বিশ্বনাথ,গোয়ালাবাজার সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যায় প্লাবিত।সিলেট সিটি কর্পোরেশনে বন্যার প্রধান কারণ জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা যার ফলে একটু সময় বৃষ্টি হলেই শহরের জনগণ ভোগান্তিতে ভোগতে হয়।সিটি কপোরেশনের মেয়র প্রতি আহবান সিলেট শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করে সিলেট কে বন্যা নামক অভিশাপ হতে মুক্তি দিতে হবে।
সুনামগঞ্জে জেলা সবকয়টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত সদর, জামালগঞ্জ, ছাতক,দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর,ধর্মপাশা,মধ্যনগর,শাল্লা,দিরাই,জগন্নাথপুর, শান্তিগঞ্জ উপজেলা।সুনামগঞ্জের জেলার সব উপজেলার সাধারণ জনগণ পড়েছে বিপাকে।তাহিরপুর,ধর্মপাশা,মধ্যনগর,শাল্লা বেশ কয়টি উপজেলার সাথে জেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন।ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা পড়ছে বিপাকে।ভারী যানবাহন চলাচল কম।প্রতি বছর এমন বন্যার স্বীকার হওয়ার জন্য অপরিকল্পিত ইটনা মিটাবন।সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিজ উপজেলার জন্য হাওরের মধ্যে দিয়েছেন অপরিকল্পিত হাওর বাঁধ। এই হাওরের বাঁধের কারণে সিলেট সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সিলেট সুনামগঞ্জ হাওর বেষ্টিত। হাওরের পাড়ে শত-শত গ্রামগঞ্জ,হাট বাজার,শহর নগর,জেলা উপজেলা,ইউনিয়ন পৌরসভা। একটি অপরিকল্পিত হাওর বাঁধের জন্য প্রতিবছর বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জি পাহাড়ি ঢলে বন্যায় প্লাবিত হয় সুনামগঞ্জ।হাওরের বুকে শক্ত বেড়িবাঁধ ইটনা মিটাবনের মহাসড়ক পানির স্রোত ধমকে দেওয়ায় সিলেট সুনামগঞ্জ বন্যা হয়।
উর্ধতন কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্যের পরামর্শক্রমে ইটনা মিটাবনের রাস্তায় ঘন ঘন ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ করলে সিলেট সুনামগঞ্জ বন্যা হতে রেহাই পাবে।
সিলেট সুনামগঞ্জের মানুষ নেই শান্তিতে।পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগান্তির স্বীকার লাখো সাধারণ মানুষ। নিম্নাঞ্চল,শহরাঞ্চল বন্যা প্লাবিত। হাস মুরগি,গৃহপালিত পশু নিয়ে অনিশ্চিতে দিনযাপন করছে হাওরের পাড়ের মানুষ। এখনো নিম্নাঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি।
মুহাম্মদ আফজাল হোসেন
শিক্ষার্থী,রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বিএসএস অনার্স চতুর্থ বর্ষ,
জামালগঞ্জ সরকারি কলেজ।