জান্নাতুল সাফিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া,নবীনগর প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম শ্রেনীর নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড. শিবশংকর দাসের বিরুদ্ধে গতকাল রোজ সোমবার সুমাইয়া ইসলাম লাকী ও জনৈক ব্যক্তিদের আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭/১২/২২) রাত ৭ টায় নবীনগর পৌরসভাস্থ মেয়রের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, দীর্ঘ ৪০/৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ করে এসেছি। কারো সাথে অন্যায় ভাবে কখনো আপোস করি নাই। অথচ ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগে আসা নজরুল ইসলাম নজু ও জাতীয় পার্টিতে থেকে আসা আবু সাঈদ কিভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হল আমার জানা নাই। নজরুল ইসলাম নজু তার ভাতিজী সুমাইয়া ইসলাম লাকীকে অন্যায় ভাবে চাকরি দিতে চাইলে আমি রাজি না হওয়ায় নজরুল ইসলাম নজুসহ তার ভাতিজি লাকী ও আবু সাইদ, মাননীয় এমপি'র নাম নিয়ে আমার নামে অপ-প্রচার চালাতে থাকে।
তাদের কাছে আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এভাবে আমার সংগঠন আওয়ামী লীগ ও আমাকে অন্যায় ভাবে হেয় হতে হবে আমি তা ভাবতে পারিনি!
মেয়েটির (লাকী) সাথে আমার দেখাই হয় নাই অথচ তাকে নাকি আমি অপমান করে অফিস থেকে বের করে দিয়েছি। মেয়েটি যে দিনের কথা বলছে সেই দিন আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিলাম। ছোট মেয়ে হয়তো তাকে কেউ শিখিয়ে এনেছে নয়তো এভাবে একটা ছোট মেয়ে আমাকে নিয়ে বানিয়ে বলতে পারে না।
আমার বিরুদ্ধে আনিত নিয়োগ বানিজ্য ও অপবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের মানুষজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। আমি অন্যায় ভাবে সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মানে সহায়তা না করায় ও তার চাঁদাবাজিতে রাজী না হওয়ায় সে বিভিন্ন ভাবে আমাকে মানহানি ও অসম্মান করার চেষ্টা করে আসছে ।
এ সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিন আহম্মেদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আ. লীগের সাবেক ১ নং সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফিক, আব্দুর রহমান ভি.পি, সাবেক পৌর আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি. এস খাইরুল আমীন, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিপন, পৌর আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, দপ্তর সম্পাদক জামাল উদ্দিন, যুব লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ রুহুল আমীন চিশতী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কয়েছ আহম্মেদ বেপারী ও পৌরসভার কাউন্সিলরগনসহ নবীনগরের প্রিন্ট ও অন-লাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।