শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

নবীনগরে স্বামী,শাশুড়ি,ননদের অত্যাচারে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা

উত্তর বাংলা
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৭ Time View

 

জান্নাতুল সাফিঃ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া,নবীনগর প্রতিনিধিঃ-..….ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন বাড়িখলা মোল্লা বাড়ির মৃত বাবুল মিয়ার মেয়ে  শুক্রবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

নিহত গৃহবধুর নাম মুন্নী আক্তার (২১)। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ মারুফ মিয়া। নবীনগর থানার (এসআই) ময়নাল জানান, ওই দম্পতি নিজ বাড়িতে একটি টিন সেটের ঘরে থাকতেন।

নবীনগর থানা পুলিশ আত্মহত্যার খবর পেয়ে শুক্রবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মেয়ের নিজ বাড়ির থেকে গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

শুক্রবার দুপুরে কোনো এক সময় তিনি ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি   জানান, সাংসারিক অভাব অনটন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে   ঝগড়া হয় তার। এরই
পরিপ্রেক্ষিতে মনোমালিন্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

আত্মহত্যার, একদিন আগেও গ্রামের কিছু সাহেব সরদার মিলে তার স্বামীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হয় মীমাংসা করার জন্য। কিন্তু তার স্বামী মুঠোফোনে জানায় তাকে নিয়ে আর সংসার করবে না। মোবাইল ফোনে মেয়েকে তালাক ও দেন তার স্বামী মোহাম্মদ মারুফ মিয়া।

তবে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মৃত মুন্নি আক্তারের মা জেসমিন বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এসময় তিনি আরো বলেন। আমার মেয়ে মুন্নি আক্তার কে মোঃ মারুফ মিয়া প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তার বাড়িতে এনে বিবাহ করে। বিবাহের পর সামাজিক ভাবে বসে আমার থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ দাবি করিলে আমার মেয়ের শান্তির স্বার্থে আমি রাজি হই এবং তা পরিশোধ করি। বিবাহের দের বছর পর থেকে শুরু হয় আবার ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন আমার স্বামী নাই আমি কোইথাক্কা দিমু দুই দিন পরপর এত যৌতুক আমি দিতে পারমু না এ কথা বললে আমার মেয়ে মুন্নি বেগম কে তার শশুর শাশুরী ননদ স্বামী সকলে মিলে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার চালায় দিনের পর দিন গত ২৯/১২/২০২২ইংরেজি সন্ধা সময় মারুফের বাড়ি থেকে আমাকে খবর দেয়, দিয়ে বলে যে তার ছেলে বিদেশ যাবে টাকা লাগবে আমি দিতে পারব না বললে মারুফ মোবাইল ফোনে বলে আমার মেয়েকে তালাক দিয়ে দিবে, পরে আমাকে সাহেব সরদার গন বলে তুমি তোমার মেয়েকে নিয়ে যাও মারুফ বাড়িতে এলে সামাধান হবে পরে আমি আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাই। তাতেই মারুফ চুপ থাকেনি আমার মেয়েকে একাদিক বার ফোন করে বলে তুই মর মরে আমারে ও আমার পরিবার কে মুক্তি দে বিষ খাইয়া মর ফাঁসি দিয়া মর কেরির ভরি খাইয়া মর এবং মোবাইল ফোন তিন তালাক দেয় তার পর আমার মেয়ে ফাসি দেয়।
বক্তব্য

শেয়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও
© All rights reserved © 2022 Uttorbangla24 live
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102