লামায় সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতিবাদ সমাবেশ
ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কোম্পানি এবং তার পরিবারকে নিয়ে কুচক্রী মহল ও ষড়যন্ত্রকারী কর্তৃক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীনভাবে হয়রানি করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ। (২৯ মার্চ২৩ইং) বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আজিজনগর চাম্বী মুফিজ বাজারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
স্থানীয় মুরুব্বি মুফতি মৌলানা তৌহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, আজিজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম রেজা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজম খান সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদনান আহমদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি গণমান্য ব্যক্তিবর্গ নারী পুরুষ ও স্থানীয় সর্বসাধারণ এবং উপজেলার প্রিন্ট ও ইলিকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে রং লাগিয়ে তিলকে তাল করে এই ঘটনা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ও তার পরিবারকে হয়রানি করতে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে এই ঘটনার সাজানো হয়েছে। মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা দিয়ে একজন জননেতার জনপ্রিয়তা হ্রাস করা যাবেনা।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, ২৫ মার্চ সকালে শিশু সোহাগের মা ৯৯৯ ফোন করলে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে পুলিশ দিয়ে বাচ্চাটি উদ্ধার করি এবং সুস্থ শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেই। ২৬ মার্চ শিশু সোহাগের সাথে মুঠোফোনে আমি কথা বলি। শিশু সোহাগ বলেন, তাকে কেউ মারধর করেনি। অথচ ঘটনার তিনদিন পরে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে সোহাগ ও তার মা সেলিনা আক্তারকে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পরে রাতেই বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এই ঘটনা সুস্থ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ মার্চ) লামা উপজেলার আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান এর বাড়ির স্বর্ণ চুরির ঘটনা নিয়ে ৯ বছরের শিশু মোঃ সেলিম সোহাগ ও তার মা সেলিনা আক্তার আটক ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এই বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এদিকে উভয় পক্ষ লামা থানায় মামলা করেন।