মাহফূজুল করিম(বান্দরবান)
আজ শনিবার(২১শে জানুয়ারী-২৩ইং)
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার পার্শবর্তী চকরিয়া উপজেলায় চকরিয়া কলেজ গেইটের পার্শে ভবঘূরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধা (২০শে জানুয়ারী২৩ইং)রোজঃশুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় রোড এক্সিডেন্টে মারাত্মক আহত হয়।তাৎক্ষণিক পথচারী শামিম ও পুলিশের সহায়তায় গাড়িতে করে পাঠানো হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
রবিউল জানান,এমন সময় হাসপাতালের সামনের বেঞ্চে বসে আমরা তিন বন্ধু (আমি, আবিদ,রোকন) আড্ডা দিচ্ছিলাম । হঠাৎ দেখলাম, হাসপাতালের সামনে একটা রিক্সা থেকে একজন মানুষের চিৎকারের শব্দ আসতেছে । আমরা কাছে গিয়ে দেখি একজন মানসিক রোগী, যিনি রোড এক্সিডেন্ট করেছেন । কিভাবে এক্সিডেন্ট করেছে জিজ্ঞেস করাতে রিক্সাওয়ালা বললেন, বারআউলিয়া নগর থেকে পুলিশ তার রিক্সায় তুলে দিয়ে সরকারি হসপিটালে নিতে বলছে । সে রোগীটিকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসছে।
অন্বেষণের এডমিন রবিউল বলেন,আমরা তিনবন্ধু মিলে রোগীকে রিক্সা থেকে নামিয়ে হুইল চেয়ার করে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলাম । তার কপালের উপরে ও পায়ে প্রচন্ড আঘাত ছিল । ইমার্জেন্সিতে দায়িত্বরতরা খুবই আন্তরিকতার সাথে তার ক্ষত গুলো পরিষ্কার করে সেলাই করে দিলেন এবং ব্যান্ডেজ করলেন। ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন । রোগীকে হসপিটালে রাখা যাবে কিনা জিজ্ঞেস করলে ডাক্তার বললেন তাকে রাখলে অন্যান্য রোগীর সমস্যা হবে, সে খুব চিৎকার করতেছিল এবং তাকে দেখার কেউ নাই। আর সবচেয়ে বড় বিষয় তাকে রাখার মতো বেড খালি নেই।
রোগীটিকে ব্যান্ডেজ করার পর সে খুব কাঁপতেছিল। চিৎকার করে করে বারবার হুইল চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলো । আমাদের কাজ থাকা সত্যেও সে অবস্থায় তাকে ফেলে আসতেও মন চাচ্ছিলো না । পরে আমরা তিনবন্ধু মিলে তার জন্য খাবার, ইনজেকশন ও ঔষধ কিনলাম এবং খাবার আর ঔষধ খাইয়ে দিয়ে ইনজেকশনটা পুশ করে দিলাম । তার একটা কম্বল ছিল সেটা ফ্লোরে বিছিয়ে দিয়ে আরেকটা নতুন কম্বল আমরা কিনে দিয়েছি শীত নিবারণের জন্য । হাসপাতালের নিচ তলায় পশ্চিম পাশের সিডির ঘরের পাশেই তাকে বিছানা করে দিয়েছি এবং ঘুম পাড়িয়ে আমরা চলে আসি ।আজ ২১ জানুয়ারি চিকিৎসার খোঁজ নিতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর প্রধান ডাক্তার সুভন দত্তকে জানালে তিনি( RMO) ডক্তারের সহায়তা নিতে বলেন।আরএমও জানান,নিয়মিত কেউ যদি তার তদারকি করতে পারে,তাহলে আমরা ইনডোরে রেখে চিকিৎসা সহায়তা দিতে পারি।
মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষটা সুস্থ হওয়া অবধি কোন মানবিক ব্যক্তি কিম্বা সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, অন্বেষণ সোস্যাল এন্ড ব্লাড ডোনার’স সোসাইটির এডমিন রবিউল হাসান।