নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সত্তোরোর্ধ্ব ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা মারধর করলো বোনদের। নিজের জমি বায়নামা অন্যত্র বিক্রয় করাকে কেন্দ্র করে।
বোনদের মারধর করতে দেখা যায়
আইনুল হক সন্ত্রাসী বাহিনী। বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সত্তোরোর্ধ্ব দুই বোনকে অমানুষিক ভাবে পেটালেন ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা।
এ ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন ভিডিও ধারণ করেন। গত রবিবার রাজশাহী এয়ারপোর্টথানা ধীন গ্রাম বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
মারধরের শিকার দুই বোন ১.মোছাঃ রাহেলা বেগম (৪৫)২. মোছাঃ জাহানারা (৪০) এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বালিয়াডাঙ্গা বাসিন্দা । মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক ভাবে।
এ ঘটনায় মারধরকারী আসামী ১. মোঃ আয়নাল হক (৩৫) ২. মোঃ আরমান হোসেন (৩০) উভয়ের পিতাঃ মোঃ আইয়ুব আলী। ৩. মোঃ বাবলু (৩৮) ৪.মোঃ ওয়াসিম আলী (৩৬) উভয়ের পিতাঃ মৃত আমজাদ আলী। ৫. মোঃ নাজিম (৪২)
পিতা মৃত সৈয়দ আলী। সর্ব সাং বালিয়াডাঙ্গা,থানাঃ এয়ারপোর্ট, রাজশাহী ৫ জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে থানায় অভিযোগ নিয়েছে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ইমরান হোসেন।
থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, মায়ের সম্পত্তির অংশ বিক্রয় করতে ইচ্ছুক হলে বিবাদীর ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা জমির দাম নগন্য বলে কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে জমি বিক্রয় করতে বায়নামা বিক্রয় করেন লাবনী আক্তারের কাছে। সম্পত্তির বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিশী বৈঠক একাধিক বার হয়। বেআইনী ভাবে বোনদের জমির প্রাচীরের চারি পাশের বেড়া ও খুটি ভেঙ্গে ফেলে আসামিরা যার আনুমানিক মূল্য ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
গত রবিবার লাবনী আক্তার কে বায়নামা বিক্রয় জমি সীমানা প্রাচীর বুঝিয়ে দেন বিবাদীরা। সীমানা প্রাচীর বুঝিয়ে দিতে বিবাদীগন তাহার ভাই ও ভাইয়ের ছেলেদের উপস্থিত থাকতে বলেও তাহারা ও সময় থাকেন না। হঠাৎ কোন কিছু না বলে আসামী গন সীমানা প্রাচীরের বেড়া ও খুটি ভাঙ্গচুর শুরু করে তাহাদের বোন মোছাঃ রাহেলা বেগম ও মোছাঃ জাহানারা জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়ে মারধর শুরু করেন আসামিরা। বিবাদীদের মধ্যে এক জন ৯৯৯ সেবায় ফোন করলে দ্রুত এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ গিয়ে মারধর থামিয়ে দেন । পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে কৌশলে পালিয়ে যান আসামিরা। বিবাদীগন আহত হলে তক্ষনিক রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেন। ভিডিওতে দেখা যায়,পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা কেউ উদ্ধার করেনা।
ওসি মোঃ ইমরান হোসেন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বলেন তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ এজাহারভুক্ত করা হবে।