বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে অনাবাদি জমিতে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষে তিন গুণ লাভের সম্ভাবনা দেখছেন উপজেলার তরুণ কৃষক মো. লুৎফুর রহমান। তিনি অল্প পুঁজি ও সঠিক নিয়মের পরিশ্রমই এ সাফল্য এনে দিয়েছে তাঁকে।
পাশাপাশি আবাদের আওতায় এনেছেন ১৫ বিঘা পরিত্যাক্ত জমি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে স্বল্প সময়ে পুঁজির তিন গুণ মুনাফার আশা রয়েছে তার।
সরেজমিন লুৎফুর রহমানের গ্রাম, উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সমের্মদানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী ব্যাপক এরিয়া জুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ ধাঁধানো বর্ণিল সমারোহ। বছরের পর বছর অনাবাদি থাকা এসব জমিকে পরিণত করেছেন হলুদ রঙের বিস্তীর্ণ মাঠে। প্রত্যেক জমিতেই ভালো মানের চাষ হয়েছে সরিষার।
তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, এক সময় এসব জমিতে আমন ফসল হতো।
পরে দীর্ঘদিন ধরে পানি সংকটসহ নানা কারণে বছরের পর বছর পরিত্যাক্ত ছিল জমি। অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে কৃষি অফিসের পরামর্শ গ্রহণ করে সরিষা চাষের উদ্যোগ নেই। প্রায় ১৫ বিঘা জমি চাষ-বাষে প্রস্তুত করি। পরে গেল ৩রা ডিসেম্বর কৃষি অফিস থেকে কিছু ও নিজে ক্রয় করে বিঘা প্রতি ১ কেজি করে বারি-১৪ জাতের সরিষা বীজ বপণ করি।
এতে পরিচর্যাসহ এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ফলেছে ভালো মানের সরিষা। এই মাসে উঠানো যাবে ফসল।
তিনি আরও জানান, আওবহাওয়া ঠিক থাকলে বিঘা প্রতি ফলনে পাওয়া যাবে ১০০ কেজি। ১৫ বিঘায় মিলবে ১৫শ কেজি।
বর্তমানে কেজি প্রতি সরিষার পাইকারি বাজার মূল্য ১২০টাকা হিসেবে ১৫০০ কেজির মূল্য দাঁড়ায় ১লক্ষ্য ৮০ হাজার টাকা। এ থেকে খরচ বাদ দিলেও তিন গুণ লাভ থাকছে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলায় এ বছর সরিষা আবাদ হয়েছে প্রায় ৪২২ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সরিষা আবাদে কৃষকদের সার-বীজ ও উপকরণ সরবরাহসহ সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
কৃষক লুৎফুর রহমানের মতো অন্যরা এগিয়ে এলে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার পাশাপাশি, সরিষার ভালো ফলন পাওয়া যাবে এবং তেলের স্থানীয় চাহিদার অনেকটাই পূরণ হবে বলে তিনি জানান।