বাফুফে জাতীয় রেফারি হিসেবে পদোন্নতি হয়েছে লামা ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালের সহকারী শিক্ষক পলাশ দে
মাহফূজুল করিম,লামা প্রতিনিধি
কদিন আগেই বাংলাদেশের ফুটবল রেফারিদের ইতিহাসে মাইলফলক গড়েছেন ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ দে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাফুফের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে বাফুফে রেফারি হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণের সর্বশেষ হার্ডলটা পার হতে পেরেছেন তিনি।
অপেক্ষা ছিল বাফুফের অনুমোদনের। এবং আশা ছিলো জাতীয় রেফারি হিসেবে কাজ করবেন। সেটিও পেয়ে গেছেন পলাশ দে।বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এক মেইল বার্তায় সেটি নিশ্চিত করেছেন।
বাফুফের স্বীকৃতি মেলায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাফুফের তালিকাভুক্ত রেফারি হয়ে গেছেন ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ দে। কিছুদিনের মধ্যে বাফুফে থেকে ব্যাচ, জার্সিসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর এই পাহাড়ি সন্তান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন দেশ-বিদেশের ভেন্যুতে। তার স্বপ্নটাও বেশ বড়, বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপের ম্যাচে বাঁশি বাজানোর।
খেলোয়াড়ী জীবনের পর থেকে রেফারি হিসেবে মনোনিবেশ করেন ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ দে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর পর ধীরে ধীরে লেভেল ৩, ২ এবং ১ পাশ করে জাতীয় পর্যায়ের রেফারি হয়েছেন।
তার এই কৃতিত্বে ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মচারী শিক্ষার্থীসহ সকলে অনেক খুশি। ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুফিজ উদ্দীন বলেন, পলাশ দে আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষক, তার এই কৃতিত্ব দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত,তার জন্য আমি দোয়া করি, সে যেন জাতীয় পর্যায়ে দেশ বিদেশের মাটিতে খেলা পরিচালনা করতে পারে।সে আমাদের স্কুলের গর্ব।
পলাশ দে বলেন, আমার এই সাফল্যের পিছনে যারা আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছে আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, সেই সাথে বিশেষ করে ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুফিজ উদ্দীনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তাঁরা সকলে আমাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বপ্ন ফিফা, সকলে দোয়া ও সহযোগিতা করলে আমি আগামী বছর ফিফার পরীক্ষা দিতে পারবো।পরিশেষে সকলের কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাতীয় পর্যায়ের রেফারি পলাশ দে।
শিক্ষক ও জাতীয় পর্যায়ে পদোন্নতি পাওয়া রেফারী পলাশ দে কক্সবাজারের চকরিয়া খুটাখালির কৃতি সন্তান।
মাহফূজুল করিম
লামা