নিজস্ব প্রতিবেদকঃআশিক হাসান সীমান্ত
সাংবাদিক রিপোর্টিং সেন্স, সংবাদ লেখা, সংবাদ সংগ্রহ, সংবাদ সম্পাদনার মত বেসিক ও মৌলিক বিষয়গুলো জানতে হবে, শিখতে হবে, বুঝতে হবে। চিকিৎসাবিদ্যায় যেমন এমবিবিএস সবাই পড়ে, তেমনি এসব শেখা সাংবাদিকদের জন্য জরুরী। টিভি সাংবাদিক কিংবা পত্রিকা-দুই জায়গাতেই প্রয়োজন।
প্রযুক্তি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অনেকেই ভালো করে বাংলা টাইপ করতে পারেন না। সত্যি। এছাড়াও টুকটাক সোশাল মিডিয়ার জ্ঞান, অনলাইনে ফেক নিউজ চেনার বিভিন্ন উপায় জানা জরুরী। এছাড়াও টুকটাক ক্যামেরা, ভিডিও এডিটিং, ছবি সম্পাদনা শেখা ও জানা প্রয়োজন।
মানবিক দক্ষতা: সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সংবাদ সংগ্রহের বিভিন্ন কৌশল, ঘটনা-সত্য-মিথ্যা বোঝা ও জানা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতার জন্য কী কী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন,অদ্ভুতভাবে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা পড়ে সাংবাদিক হওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশ কম। ধীরে ধীরে এই আগ্রহ আরও কমছে। সম্ভবত ২০১০ সালের পরে এই হার কমছে বেশি মাত্রায়।এক দশক আগেও যারা সাংবাদিকতায় আসতেন, রিপোর্টিং, ফিচার কিংবা অনুসন্ধানে দারুণ হাত পাকিয়ে আসতেন। এখন পরিবেশ ভিন্ন, এ দুনিয়াতে আসলেই টের পাবেন।বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করতে যে সব যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন:
বেসিক রিপোর্টিং সেন্স। সংবাদ লেখা, সংবাদ সংগ্রহ, সংবাদ সম্পাদনার মত বেসিক ও মৌলিক বিষয়গুলো জানতে হবে, শিখতে হবে, বুঝতে হবে। চিকিৎসাবিদ্যায় যেমন এমবিবিএস সবাই পড়ে, তেমনি এসব শেখা সাংবাদিকদের জন্য জরুরী। টিভি সাংবাদিক কিংবা পত্রিকা-দুই জায়গাতেই প্রয়োজন।
প্রযুক্তি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অনেকেই ভালো করে বাংলা টাইপ করতে পারেন না। সত্যি। এছাড়াও টুকটাক সোশাল মিডিয়ার জ্ঞান, অনলাইনে ফেক নিউজ চেনার বিভিন্ন উপায় জানা জরুরী। এছাড়াও টুকটাক ক্যামেরা, ভিডিও এডিটিং, ছবি সম্পাদনা শেখা ও জানা প্রয়োজন।
মানবিক দক্ষতা: সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সংবাদ সংগ্রহের বিভিন্ন কৌশল, ঘটনা-সত্য-মিথ্যা বোঝা ও জানা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করতে কোন যোগ্যতা লাগে,সাংবাদিক হওয়ার কোন সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করা নাই। তবে এখন মিডিয়া হাউসগুলো সাংবাদিকতায় স্নাতক পাসদের অগ্রাধিকার দেয়।
আমি বাংলাদেশে সাংবাদিক হতে চাই। কিভাবে হতে পারি।বিভিন্ন ধরনের পাঠকের জন্য সাংবাদিকতার বিভিন্ন ধরন রয়েছে। একটি একক প্রকাশনায় (যেমন সংবাদপত্র) বিভিন্ন ধরনের সাংবাদিকতা উপাদান থাকে এবং প্রত্যেক উপাদান বিভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি বিভাগ ভিন্ন ভিন্ন পাঠকের জন্য সংবাদ সরবরাহ করে থাকে।
সাংবাদিকতার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধরন হল ওকালতি সাংবাদিকতা – কোন নির্দিষ্ট মতাদর্শ বা পাঠকের মতামতের প্রভাব সমর্থন করে লেখা হয়।সম্প্রচার সাংবাদিকতা – বেতার বা টেলিভিশনের জন্য লিখিত সাংবাদিকতা।
নাগরিক সাংবাদিকতা – নাগরিকদের অংশগ্রহণমূলক সাংবাদিকতা।
উপাত্ত সাংবাদিকতা – ঘটনাবলী সংখ্যায় খুঁজে বের করার এবং তা সংখ্যায় প্রকাশ করার রীতি।ড্রোন সাংবাদিকতা – ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করা।
গঞ্জো সাংবাদিকতা – হান্টার এস থম্পসন কর্তৃক উদ্ভাবিত গঞ্জো সাংবাদিকতা হল প্রতিবেদন প্রণয়নের নিজস্ব উপায়।
পারস্পারিক ক্রিয়াশীল সাংবাদিকতা – অনলাইন সাংবাদিকতার একটি ধরন যা ওয়েবে উপস্থাপন করা হয়।অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা – সামাজিক সমস্যাসমূহ উদঘাটন করে এমন প্রতিবেদন।আলোকচিত্র সাংবাদিকতা – চিত্রের সাহায্যে সত্য ঘটনাসমূহ উপস্থাপনের রীতি।সেন্সর সাংবাদিকতা – অনুসন্ধানের লক্ষ্যে সেন্সর ব্যবহার করা।টেবলয়েড সাংবাদিকতা – বিনোদনমূলক সংবাদ প্রণয়ন, যা মূলধারার সাংবাদিকতা থেকে কম বৈধ।হলুদ সাংবাদিকতা – অতিরঞ্জিত অভিযোগ বা গুজব বিষয়ক প্রতিবেদন।ক্রীড়া সাংবাদিকতা ক্রীড়া সাংবাদিকতা অপেশাদার এবং পেশাদার ক্রীড়া খবর এবং ঘটনা রিপোর্ট উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ক্রীড়া সাংবাদিক সকল প্রিন্ট, টেলিভিশন সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট সহ মিডিয়াতে কাজ করে।সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমের বিকাশের ফলে সাংবাদিকতাকে একটি প্রক্রিয়া না বলে নির্দিষ্ট সংবাদ পণ্য বলে অভিহিত করার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করা হচ্ছে। এই বিবেচনায়, সাংবাদিকতা হল এক ধরনের অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া যেখানে একাধিক লেখক ও সাংবাদিক এবং সামাজিকভাবে মধ্যস্থতাকারী জনগণ জড়িত থাকে।এই বিষয়ে একটু গাটাঘাঁটি করলে বুঝতে পেরে যাবেন ।কোথায়, কি ভাবে ,কি করে,কি করতে হবে,বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে শিক্ষা ছাড়াও যেকোন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে এবং পাশাপাশি দেশ-বিদেশের সকল বিষয়ে জ্ঞান ও লেখালেখির অভিজ্ঞতা/সক্ষমতা থাকলেই এই পেশায় যুক্ত হওয়া সম্ভব। মূল কথা আপনার কলমের শক্তি থাকলেই সাংবাদিক হতে পারবেন।একজন সাংবাদিক বিভিন্ন বিষয়ে যতবেশি ধারনা রাখেন, তিনি তত বেশি শক্তিশালী পেশাদার সাংবাদিক হতে পারবেন। সাংবাদিকতা বিষয়ে অফলাইন/অনলাইনে প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই বিষয়ক বই আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। ক্ষুদ্র জ্ঞানে অভিজ্ঞতার আলোকে সংক্ষেপে লিখলাম, আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা? আমি সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। সাংবাদিকতার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে খবর বা নিউজ। সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করতে এসে বুঝলাম সাংবাদিকতা নিজেই এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি খবর এর সংজ্ঞা কি। খবরের কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই।পেশাগতভাবে কাজ করতে আসার পর বুঝতে পারলাম, খবরের একটা সংজ্ঞা আছে। কিন্তু সেটা ইচ্ছে করেই পাঠক্রমের মধ্যে রাখেনি, কারণ বিদ্যা কে দেব তুল্য কোন বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রাখতে হবে। খবরের সংজ্ঞা হল: পাবলিক যেটা খাবে, সেটাই খবর। হ্যাঁ খাবে? পাবলিক ভাত ডাল রুটির মত খবর খায়? আর ওদের খবর খাওয়ার নেশা টা আফিমখোরের মতন, না খেলে চলে না।আপনি সাংবাদিক হতে চাইলে লেখালেখি শুরু করে দিন। এবং নিজের লেখা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশ করতে থাকুন। নিজের লেখা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন, কোনটা পাবলিক খায়। ব্যস আর কিছু আপনাকে করতে হবে না।