রাসেল মোল্লা কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি সারি সারি যানবাহন আর উচ্ছ¡সিত পর্যটকের ভিড়। সৈকতে যে তিল ধারনের ঠাই নেই। বদলে গেছে সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার চিত্র। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর থেকে আমুল পরিবর্তন হয়েছে। ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে পাঁচ তারকামানের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট। ছোট বড় মিলিয়ে কুয়াকাটায় প্রায় দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল রয়েছে। এছাড়া রয়েছে উন্নতমানের খাবার হোটেল ও রেস্তোরা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন কুয়াকাটা পর্যটন নগরী বিদেশী পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। কোন উপলক্ষ ছাড়া সহ¯্রাধিক বাস ও মাইক্রোবাস গাড়িতে পর্যটকের আগমন ঘটেছে। শুক্রবার জিরো পয়েন্ট থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার এলাকজুড়ে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে পর্যটকবাহী এসব গাড়ি। হোটেল মোটেল গুলোও রয়েছে বুকিং। বিগত বছরের তুলনায় শীতের শেষের দিকে শনিবার ছুটির দিনে রেকর্ট সংখক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নেচে গেয়ে বেড়াচ্ছেন। আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন প্রিয়জনের সঙ্গে। সৈকতের জিরো পয়েন্টে,কাউয়ারচর, চর গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, শুঁটকি পল্লী, লেম্বুর বন, বৌদ্ধ বিহার, ও রাখাইন মার্কেটসহ সকল পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা রয়েছে। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
পর্যটন মো.আনিচুর রহমান জানান, পদ্মা সেতুর কারনে এখন পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। মাত্র সাড়ে ৫ ঘান্টায় কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে পরিবারের সদস্যরা অনেক আনন্দ করেছে। অপর এক পর্যটক হাফিজুর রহমান বলেন, একসঙ্গে এতো বেশি মানুষ আর কখনো দেখিনি। বন্ধুরা সবাই মিলে সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি। এ এক দারুণ উপলব্ধি। বেশ ভালো লাগছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো বাসস্ট্যান্ড না থাকায় সড়কের পাশে রাখা গাড়িগুলোর করানে হাটা চলায় অনেকেরই বিঘœ হয়েছে।
কুয়াকাটা সী-ট্যুর এন্ড ট্রাবেলস’র ব্যবস্থাপক হোসাইন আমির বলেন, পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ থাকে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোশিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ বলেন, আগের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমাদের সকল হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আগতদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।