আব্দুল কাইয়ুম,জয়পুরহাট:
প্রিয় কলমসৈনিকসাংবাদিকবৃন্দ,
আসসালামুআলাইকুম/আদাব। আমি মোঃ আতাউল ইসলাম, সমসাবাদ মধ্যপাড়া মসজিদের একজন মুসল্লী, মসজিদের জমিদাতামৌখিক দানকৃত স্থানে পাকিস্তান পিরিয়ড থেকে মসজিদঘর প্রতিষ্ঠত এবং সেখানে সুদীর্ঘকাল থেকে নামায আদায় হয়েছে।পরবর্তীতে ২০০৭ সালে ৫৯৯৯ নং দলিলমূলে ১৫২৩ দাগে ৪.৫ শতক জমি চৌহদ্দি উল্লেখপূর্বক রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু ২০২০ সালের দিকে মসজিদের নতুন কমিটি গঠনের পর থেকে কমিটির সভাপতি মোঃ আইনুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজমসজিদ সংলগ্ন জমির মালিকের সাথে বিরোধের জেরে তাদের জমি দখল করে সেখানে মসজিদ স্থাপনের নিমিত্তে কোন রকম মিটিং-রেজুলেশন ছাড়াই স্বৈরাচারের মতো মসজিদ ভেঙ্গে ফেলে।
অতঃপর সেই পাশের জমি মালিকের জমিতে মসজিদ তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। এ পর্যায়ে তারা তাদের ক্লাসমেট বন্ধুআওয়ামীলীগনেতাসাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিবকে এনে পরিস্থিতি নিজেদের অনূকুলে নেয়ার চেষ্টা করে।শেষ পর্যন্ত আইনগত অনেক বাধা-বিপত্তির মুখে তাদের হীন-চক্রান্ত ব্যর্থহয়। এ অবস্থায় প্রায় ৪ বছর পর আমাদের কিছুই না জানিয়ে মসজিদপুনঃনির্মাণ কাজ শুরু করে।কিন্তু বহুকাল থেকে যেখানে নামায আদায় হয়ে এসেছে সেই ওয়াকফ করা নির্ভেজাল, নিষ্কণ্টক ও চৌহদ্দিযুক্ত নির্দিষ্ট সেজদাহ স্থানকে অযৌক্তিকভাবে মূল মসজিদের বাইরে রেখে কাজ শুরু করে।যা সম্পূর্ণরুপে ইসলামী শরিয়া পরিপন্থী। এ সংক্রান্ত জামিয়া ইসলামিয়া আজীজিয়া, বাংলাহিলি, হাকিমপুর, দিনাজপুর এর লিখিত ইসলামী শরিয়ার ফতোয়া আমাদের কাছে রয়েছে। এমতাবস্থায়আমাদের বাধার মুখে সেজদাহ স্থানকে মূল মসজিদে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়। এতে আমরাও তখন সাধুবাদ জানাই।
কিন্তু কিছুদিন কাজ চলার পর হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এইবন্ধ অবস্থায় কয়েক মাস থাকার পর বর্তমানে আবারওকাজ শুরু করে দেয়। কিন্তু এবার তারা ইতোপূর্বে যে পর্যন্ত কাজ হয়েছিল তা পুনরায় ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে কাজ শুরু করে এবং আবারও পূর্বের ন্যায় সেজদাহ স্থানকে মূল মসজিদের বাইরে রেখে কাজ করছে।এর বিরোধিতা করে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু থানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কোন পদক্ষেপ না নিয়ে পরোক্ষভাবে তাদেরকেই সহযোগিতা করছে।অথচতারা নিজেদেরকেইসলামেরকান্ডারী বলে দাবি করে। কিন্তু ইসলাম কি তাদের এই ইসলামবিদ্বেষী কাজকে সমর্থন করবে? আমরাও চাই মসজিদ নির্মাণ হোক এবং সেখানে আগের মতো নামাযের পরিবেশ ফিরে আসুক। আমরা আগেও বলেছি এখনো বলছি, মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা আমরা কখনোই করিনি। একজন নামধারী মুসলমান হলেও সে এর বিরোধিতা করবে না। আমাদের চাওয়া একটাই। সেজদাহ স্থানকে মূল মসজিদের মধ্যে অন্তর্ভূক্তি। এটা করা না হলে তা মসজিদ হিসেবে গণ্য হবে না। বিধায় সেখানে নামাযও হবেনা।
পরিশেষে কলমসৈনিকসাংবাদিকবৃন্দেরমাধ্যমে সকলমিডিয়ায়ইসলাম বিদ্বেষীকর্মকান্ডপ্রচার করারআবেদন করছি এবং সংশ্লিষ্টকর্তৃপক্ষেরনিকটসুবিচার দাবি করছি।
মুসল্লীবৃন্দেরপক্ষে মোঃ আতাউল ইসলাম
পিতাঃ মৃত. তমিজ উদ্দিন, গ্রামঃ সমসাবাদ, ইউনিয়নঃধরঞ্জী, উপজেলাঃ পাঁচবিবি, জেলাঃ জয়পুরহাট।