সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ
পাকা সড়কের একই স্থানে একাধিকবার যানবাহন দুর্ঘটনায় বাসাবাড়ি ও দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে ক্ষতিসাধন করায় বাড়ির মালিক নিজ উদ্যোগে পাকা রাস্তা ও বাড়ির মাঝামাঝি বালির বাঁধ সহ গর্ত খনন করেন । এছাড়াও বাড়ির সামনে পযানবাহনের চালকদের সতর্ককরণীর জন্য বাঁশের খুঁটিতে লাল কাপড় টাঙিয়ে রাস্তার পাশে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অপর দিকে চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণে বাসাবাড়ি, দোকান ও জীবন রক্ষায় বাড়ির উপর সারারাত একশত পাওয়ারের বাল্ব জ্বালিয়ে রাখে। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জয়পুরহাট-হিলি পাকা রাস্তার বাগজানা বাজারের অদূরে (দক্ষিণ পাশে) বাঁকে এমন দৃশ্য দেখা যায়। উপজেলার বাগজানা গ্রামের শ্রী নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্তের ভ্যান চালক ছেলে শ্রী শুভন চন্দ্র মহন্ত দূর্ঘটনা প্রতিরোধে এমন সব উদ্যোগ নিয়েছেন। শুভনের স্ত্রী শ্রীমতি শিউলি মহন্ত বলেন, অল্প দিনের ব্যাবধানে দু বার রাস্তার বাস-ট্রাক আমাদের বাড়ি ও দোকানের ভিতরে ঢুকে অনেক ক্ষতি করেছে। প্রথমবার ছেলে ও দ্বিতীয়বার অল্পের জন্য আমার স্বামী দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছে । সেই থেকে দিনরাত দোকান ও বাড়িতে বসবাস করতে খুব ভয় লাগে আবার কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে। শিউলি আরো বলেন, ২৩ সালের ১৩ই জুন প্রথমে হানিফ বাস ও চলতি বছরের ০৭ মার্চ মাল বোঝায় একটি ট্রাক বাড়ি ও দোকানের ভিতর ঢুকে পরে। এতে শয়নকক্ষের আসবাবপত্র সংসারের আয়ের একমাত্র উৎস ভ্যানগাড়ী ও ছোট্ট দোকানের ফ্রীজ সহ সমস্ত মালপত্র নষ্ট করে ফেলে । এতে প্রায় সোয়া ২ লক্ষ টাকার ক্ষতির হয়েছে বলে সে। ভ্যান চালক শুভন বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের দাবি রাস্তার বাঁকের উভয় পাশে সাইনবোর্ড ও আইল্যান্ড দেওয়ার অনুরোধ করেন। বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হক বলেন, সড়কের ওই বাঁকে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটে। যদি গতিরোধক এবং সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙ্গানো যায় দুর্ঘটনা কিছুটা হ্রাস পাবে।
জয়পুরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে জেলার প্রতিটি রাস্তার বাঁকে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড নেই সেখানে অতি দ্রুত সাইনবোর্ড স্থাপন সহ সবধরনের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।