আব্দুল কাইয়ুম, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামে জমিজমার বিবাদকে কেন্দ্র করে কৃষকের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জুন সকালে কৃষকের নিজ বসত বাড়ির পার্শ্বে। ভুক্তভোগী কৃষক আলমগীর হোসেন (৫০) কে তার স্বজনরা গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সংবাদ পেয়ে আজ শুকবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসাধীন নওগাঁ গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন মন্ডলের পুত্র স্থানীয় এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন (৫০) তার বড় ভাই আলহাজ্ব আব্দুল জলিল ও তার কন্যা আইরিন আক্তারসহ উপস্থিত আত্মীয়-স্বজন সাংবাদিকদের জানান, নওগাঁ মৌজার ৩৩৯ খতিয়ানে ৭৪২, ৭৯৮, ৭৯৯, ৮০৩ হতে ৮০৭ পর্যন্ত দাগের ৪১ শতক জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ তার নিজ ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও জিল্লুর রহমানরা সাত থেকে আট বছর ধরে বিবাদ করে আসছিল। ঘটনার দিন সকালে ভুক্তভোগী কৃষক আলমগীর হোসেন ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় তার অংশের ভোগ দখলের সম্পত্তিতে জিল্লুর রহমান (৪৬) গোবরের পালা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সময় জিল্লুরকে বাঁধা দিলে সে তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (৬০), তার পুত্র জান্নাতুল ফেরদৌস রায়হান (৩০), রাজিব মন্ডল (২৫), মেহেদী মন্ডল (২০), জিল্লুরের পুত্র আব্দুল মান্নাফ মিতুল বাহিনী লাঠিশোটা, দা-কুড়াল দিয়ে আলমগীরকে মাথাসহ সারা শরীরে এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে আলমগীর পার্শ্বের ড্রেনে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সে সময় প্রতিপক্ষরা আলমগীরকে চিরতরে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে ডান পায়ের রগ কেটে দেয় ও তাদের এলোপাথারী মারপিটে বাম পায়ের হাড়ও ফেটে যায় এবং মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। আলমগীরকে বিগত দিনেও ১০ থেকে ১৫ বার এই প্রতিপক্ষরা নির্মমভাবে মারপিট করেছিল। তার কন্যা আইরিনকেও একবার নির্মমভাবে মারপিট করেছিল। এ ব্যাপারে পাঁচবিবি থানায় মামলার জন্য লিখিত অভিযোগ করেছে আলমগীর। আলমগীরের শারিরীক অবস্থার বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়ন্ত চন্দ্র বর্মন এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, সে গুরুত্বর অসুস্থ্য, সুস্থ্য হতে সময় লাগবে। ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষ ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আলমগীরই আমাদেরকে মারপিট করেছে, কামর দিয়ে আমার হাতের আঙ্গুল কেটে নিয়েছে। স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ মারামারির ঘটনার সতত্যা স্বীকার করেছেন।