সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ
জীবন চলার পথে ঘটে যাওয়া সকল পাপ মোচন ও বাঁকি জীবন সুখে-শান্তিতে কাটানোর জন্য শবেবরাত উপলক্ষে সমস্ত রাত জেগে নামাজ-জিকির করেন বিধবা মালেকা। রোজাও রেখেছেন ৭০ বছর বয়সী মালেকা। রাত জেগে রোজা থেকে পেটের দায়ে মালেকা প্রতিদিনের ন্যায় জীবন সংগ্রামে নেমে পরেন। পাঁচবিবি -হিলি পাকা রাস্তার পাশে ভীমপুর বাসস্ট্যান্ডে ভোরবেলায় ৫’শ টাকা মূলধনের পান বিড়ির টঙের দোকানে ঠান্ডা বাতাস ও শীতের মধ্যেই ক্রেতার অপেক্ষায়, চাতক পাখির মত চেয়ে আছেন আর ঠান্ডায় থর-থর করে কাঁপছেন।
এমন সময় সরকারি কম্বল উপহার পেয়ে খুশির চমক ফুটে উঠেছে বিধবা মালেকার চোখে-মুখে। এসময় তিনি বলেন, “৭০ বছর বয়সে জীবনে এই প্রথম সরকারি কম্বল পেলেন। বিধবা মালেকা গায়ে কম্বল জড়িয়ে খুশিতে বলেন, শেষ বয়সে যিনি আমাকে শীতের কম্বল দিয়েছে বাঁকি জীবন তার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করব সে যেন ভালো থাকে। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সম্প্রতি বিদায়ী মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধবা মালেকাকে কম্বলটি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, বাসস্ট্যান্ডটি পাঁচবিবির বাগজানা ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে ভীমপুর গ্রামে অবস্থিত। গত ৫ আগস্টের পর থেকে বাসস্ট্যান্ডটি পাশ্ববর্তী হাকিমপুর (হিলি) তে স্থানান্তর করা হয়। কোনো বাসের আনাগোনা না হওয়ায়, বাসস্ট্যান্ডটি যাত্রী ও ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। কোন বেচাকেনা না হওয়ায় অর্থাভাবে কম্বল কিনতে পারছিলেন না তিনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল উপহার পান তিনি।