রুহুল আমীন
রাত দুপুরে বসে থাকি ঘুম আসেনা চোখে,
অনেকটা রাত কাটিয়ে দেই কত কিছু দেখে।
জোনাকিদের পরোপকার মুগ্ধ করে মন,
জ্বলছে নিজে কার জন্য ভাবছি সারাক্ষণ।
নিজে জ্বলে এই প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে,
এই ধরাতে কিছু করিনি আমরা তাদের তরে।
এসব ভেবে মন চলে যায় ঝিঝি পোকার কাছে,
তাদের আর্তি পৌছে নাকো মানবতার কাছে।
বিরক্ত হয় ধরার মানুষ তার চিৎকার শুনে,
কেউ বোঝেনা কত যে ঝড় বইছে তার মনে।
রাতের বেলায় বাসা থেকে বাদুর যে বের হয়,
জানিনা সে দিনে কেন মুখ লুকিয়ে রয় ?
এক গাছ থেকে আরেক গাছে থাকে শুধু ঝুলে,
হয়তো রাতে থাকতো বাসায় প্রিয়জনকে পেলে।
ঘুম আসেনা নিরব রাতে বাইরে আসি চলে,
ঘুমের রানী পালিয়ে গেছে আমায় একা ফেলে।
চারিদিকের এই নিরবতা ভাবনা জাগায় মনে,
অতীত জীবন পরছে মনে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
একটি পাখি করুণ সুরে যাচ্ছে শুধুই ডেকে,
কি বলছে যায়না বোঝা তাহার ডাকা থেকে।
হতে পারে প্রিয়জন তার ফেরেনি আজ বাসায়,
পথে পথে খুঁজছে তারে একটু সুখের আশায়।
আকাশ থেকে একটি তারা ঐ পড়ল খসে,
নিরুদ্দেশে যাত্রা তাহার কাওকে ভালোবেসে।
তাহার দেখা না যদি পায় ফিরবে কি আর নীড়ে?
সব হারানোর ব্যথা নিয়ে বাঁচবে কেমন করে?
নিশি কালের সঙ্গি যারা কেবা তাদের আছে?
বিচিত্র এই ধরার বুকে ক্যামনে তারা বাঁচে?
নিশাচরেরা যারা আছে তারা যে মোর আপন,
তাদের সাথেই কত নিশি করি আমি যাপন।