মুহাম্মদ আফজাল হোসেন, জামালগঞ্জ প্রতিনিধি:
বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি রোধে জেলা পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক কর্মশালার অংশ হিসেবে জামালগঞ্জেও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে, বর্ণমালা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বুধবার দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মঈন উদ্দীন আলমগীর।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু, সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মাসুক মিয়া ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক আফিন্দী, ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার। অন্যান্যদের মাঝ উপস্থিত ছিলেন, জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) মো: আব্দুল বাতেন, মেডিকেল অফিসার মো: শরীয়ত উল্লাহ্, ডা: মো: ওমর ফারুক, ডা: আয়শা আক্তার সুমি, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মসজিদের ঈমাম হাফেজ মো: নুর উদ্দিন, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ ও সাধারণ সম্পাদক বাদল কৃষ্ণ দাস, কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর কাজী সোহেল আহম্মদ ও অপু মাহমুদ, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো: আহসান আলী, বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্যা বেবী রানী তালুকদার ও স্থানীয় সংবাদকর্মীবৃন্দ।
কর্মশালার সমীক্ষা জানানো হয় গত ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে বজ্রাঘাতে তিন হাজার ১৬২ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানী ঘটেছে। এপ্রিল জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয় বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশী থাকে, এ থেকে বাঁচার উপায়ে এই সময় আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাইরে না যাওয়া। খোলা জায়গা খোলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে অবস্থান না করা, খোলা স্থানে থাকলে বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেককেই ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে থাকা, বজ্রপাতের সময় ধান ক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে দ্রুত পায়ের উপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নীচু করে বসে থাকা। দ্রুত দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়া টিনের চালা যথা সম্ভ এড়িয়ে চলা। উঁচু গাছপালা বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা। বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভিতর অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশে শরীর না লাগানো সম্ভব হলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত কংক্রিটের ছাউনির নিচে অবস্থান করা। ঘরের জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় অবস্থান না করা। মোবাইল কম্পিউটার টিভি ফ্রিজ সহ সকল বৈদ্যতিক সরঞ্জাম ব্যবহারে বিরত থাকা ও বন্ধ রাখা। ধাতব হাতলযুক্ত ছাতার বদলে প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা। ছাউনি বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়া। সমুদ্র বা নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করা। এসময় ধাতব কল ধাতব রেলিং পাইপ ইত্যাদি সংস্পর্শ না করা। বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন করা। বাসা ও বাড়িতে যথাসম্ভব আলাদা আলাদা স্থানে অবস্থান করা।