স্টাফ রিপোর্টার ঃ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী হটামারা গ্রামে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে আগুন পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ পরিবারের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তান প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারগুলোর খুঁজ নিতে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান প্রত্যন্ত জনপদ হঠামারা গ্রামে পরিদর্শনে যান।
এসময় তার সাথে ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমীর এডভোকেট মোঃ নূরুল আলম, জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক ওলী, জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো: ফখরুল আলম চৌধুরী, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন জামায়াতে সভাপতি মোঃ আব্দুল মুহিত, ভীমখালী ইউনিয়ন জামাতের সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ফেনারবাক ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোসায়েল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
সহায়তা প্রদান পুর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান। তিনি বলেন, জীবন মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। আপনাদের এই দুর্যোগ একদিন কেটে যাবে। দিনের বেলায় বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে আপনাদের শুধু ঘরবাড়ি কয়ক্ষতি হয়েছে। যদি রাতে এই দুর্ঘটনা হতো তা হলে মানুষ ও গৃহপালিত পশু-পখীর হয়তো আরো বেশী ক্ষতি হতো। মহান আল্লাহর অশেষ দয়ায় কোন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আপনাদের মুখ থেকে শুনেছি সরকারী যে বরাদ্ধর ঘোষনা হয়েছে তা একেবারেই যৎ সামান্য। আমরা সরকারের কাছে দাবী জানাই আপনাদেন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যাতে আরো সরকারী সহায়তা প্রদান করা হয়। সেই সাথে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান ব্যক্তি, এনজিও, সেবা সংস্থা, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার জন্য আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব সময় মানুষের কল্যানে কাজ করে। অনেকেই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বুঝানোর অপ চেষ্টা করেন। সেটা সানুষের ভুল ধারনা। আমরা সব সময় দেশের জন্য, দেশের মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করি। সকল মানুষই আমরা ভাই-ভাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ কে আরো এগিয়ে নিতে হবে। তিনি আগুনে পোড়া ক্ষতি গ্রস্ত পরিবার গুলোর সার্বিক পুর্নবাসনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান। পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ টি পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন।