ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকের সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেল। আজ দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে পুলিশ ইউপি অফিস ঘেরাও করে রাখে। সাহাব উদ্দিন সাহেল তার ফেইসবুক আইডি সাহেল আহমেদ থেকে লাইভে এসে পুলিশকে গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞেস করেন। পুলিশ থাকে গ্রেফতার করতে এসেছে শুনে সিংচাপইড় ইউনিয়নের সাধারণ জনতা জড়ো হতে থাকে। তারা তাদের প্রিয় চেয়ারম্যানকে কেন গ্রেফতার করা হবে কারণ জানতে চায়।
সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেল জনগণের যেকোনো দূর্যোগে পাশে থাকেন। বন্যা, করোনা সহ বিভিন্ন দূর্যোগে সরকারি সহযোগিতা ছাড়াও নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন দাতাদের কাছ থেকে অনুদান এনে জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন।
এজন্য জনতা তাকে মানবিক চেয়ারম্যান বলে আখ্যায়িত করে।
এমপি মানিক বলয়ের বিরোধী থাকার কারণে বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হয়েছেন, কেটেছেন জেল।
বিগত সময় কখনো রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাউকে হয়রানি করেননি তিনি।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে সিংচাপইড় ইউনিয়নের কামারগাও বাজারে ছাত্ররা মিছিল করলে তিনি সংহতি প্রকাশ করেন।
ছাত্রদের হয়রানি না করতে পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলেন।
ইউনিয়নের সব দল মতের উর্ধ্বে উটে জনগণের পাশে ছিলেন সবসময়।
ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ বিরোধী অন্য দলের মানুষ তাকে ভালবাসত একজন সাহসী সৎ চেয়ারম্যান হিসেবে।
ইউনিয়ন পরিষদের সেবা দিতে কে কোন দল করত সেটা কখনো ভাবেননি।
জনগণ তাদের প্রিয় চেয়ারম্যানকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসে।
বিগত ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পরিবর্তন হওয়ার পর অনেক চেয়ারম্যান যেখানে আত্মগোপনে চলে যান, তখনও তিনি তার কাজের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
আজ বিকালে ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার মামলায় গ্রেফতারের জন্য জাউয়াবাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গ্রেফতার করার চেষ্টা করে।
তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।
পুলিশ কর্তৃক ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলকে গ্রেফতার করার চেষ্টা জানাজানি হলে ছাতক উপজেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ফেইসবুক পোস্টে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সাহেল রাজনীতির উর্ধ্বে সবার প্রিয় একজন মানুষ।
চেয়ারম্যান সাহেলের পিতা শামসুদ্দিন সাহেব সিংচাপইড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বাবার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে উনিও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলের সাথে প্রতিবেদকের আলাপ হলে তিনি জানান, আমি নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পুলিশ কিছু স্বার্থনেষী মানুষের ইন্ধনে আমাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করে।
আমাকে গ্রেফতার করতে না পেরে আমার ইউনিয়ন নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে।
আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
আমার ইউনিয়নের নিরপরাধ মানুষকে ছেড়ে দিন, আমি অপরাধী হলে নিজে আত্মসমর্পণ করব।
ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন সুনামগঞ্জ সদর থানার একটি মামলা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।