শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

চক্রান্ত মূলক মামলা থেকে বাঁচতে চায় যুবক রাজিব!

উত্তর বাংলা
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৬৩ Time View

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মানুষের জন্ম হয় একবার ও মানুষের মৃত্যু হয় একবার। কিন্তু চক্রান্ত মূলক শক্তি কাছে জীবিত অবস্থায় মৃত্যু এর চাইতে কঠিন যা তিনি জীবিত থেকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এবং মুক্তির আশায় ধুঁকে ধুকে বেঁচে থাকে। চক্রান্তমূলক মামলার জন্য জীবন একেবারে শেষ হয় না বেঁচে থেকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হয়।

রক্ষক যখন ধোঁকাবাজ মানুষ আস্থা রাখেন কার উপরে কিছু ধোঁকাবাজির জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সুনাম নষ্ট হয় । কিছু ধোকাবাজ সমাজ থেকে যায়। এদেরকে উন্মোচন না হলে গোটা জাতি এবং গোটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কলঙ্কিত চোখে দেখে মানুষ, সেই পরিপ্রেক্ষিতে ধোকাবাজদের মুখোশ উন্মোচন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ধোঁকাবাজির মুখোশ উন্মোচন।

কোন মামলায় ফাঁসিয়ে দিলেন মারা যায় বার বার। যেমন জামিন পেতে পেরিয়ে যায় মাসের পর মাস। বছরের পর বছর। সেই জামিন নামের সোনার হরিণটি পেতে পেতে খরচ হয় লাখ লাখ টাকা।

সেই সাথে একটা তরুণ বা যুবকের নষ্ট হয় শিক্ষা জীবন। কারো চলে যায় চাকরী, ব্যবসা, ধ্বংস হয় সংসার। সবমিলে ভূক্তভোগীর অবশিষ্ট জীবনটা ধুকে ধুকে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চক্রান্তকারী ? লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়।

২৩ অক্টোবর ২০১৯। দুপুর দেড়টা। রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন গোরহাঙ্গা বিন্দুর মোড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ মাসুদ রানা সরকার। তার বাড়িতে মহানগর ডিবি পুলিশের এসআই হাসান ও ৫/৬ জন সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত হয়।

এ সময় বাড়ির মালিক মোঃ মাসুদ রানা সরকারের বড় ছেলে মোঃ রাজিব আলীকে (২৬) এসআই হাসান পিস্তল ধরেন। বলেন, হেরোইন-ইয়াবা আছে বের করে দে। এরপর পুরো বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে কোন কিছু না পাওয়ার পরও যুবক রাজিব আলী ও তার বন্ধু মোঃ আব্দুল মোতালেবকে বাড়ি থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরের দিন অর্থাৎ (২৪ অক্টোবর) রাজিবের সামনে একটি টেবিলের উপর ৫০ গ্রাম হেরোইন ও ২০০পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটের ছবি সম্মেলিত একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হয়। অভিযানকারী পুলিশরা হলো হিরো। রাজিবের নামে দেয়া মামলায় জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পেতে রাজিবের সময় লাগলো ১৫ মাস ২০দিন।

আর সেই জামিণ নামের স্বর্ণের হরিণ পেতে রাজিবের বাবার খরচ হলো ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আইটি লাইফ কোম্পানী। যাহা কাজি ব্রাদার্সের একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন রাজিব আলী। সেখান থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটির কতৃপক্ষ। মামলা থেকে মুক্তির আশায় আজ আবদি হতাশাগ্রস্থ রাজিব ছুটছে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির দারে দারে। কারন সে জানে জেলে থাকা কি কষ্টের। জেলে থাকার চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়।
ওই অভিযানে থাকা এক কন্সটেবল জানায়, রাজিবের বাড়ী তল্লাশী চালিয়ে দুই বোতল ফেন্সিডিল ও একটি কেরু ব্র্যন্ডের মদের বোতল পাওয়া যায়। তবে বোতলে অর্ধেক মদ ছিলো। তাঁর বক্তব্যের সেই ভিডিও সংরক্ষন রয়েছে। অভিযানে থাকা অন্যান্যদের বক্তব্যে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে পরের সংখ্যায়।

ভূক্তভূগীর বাবার সাথে রফাদফা দামদর করেন এসআই হাসানের সঙ্গীয় ফোর্স টাকা দাবি করেন প্রথমে ৭ লক্ষ টাকা। যদি ৫ লক্ষ টাকা না দিস তো তোর ছেলের জীবন গরবত করে দেবো, ভূক্তভূগীর বাবার কান্নার শব্দে বলেন আমার কাছে এতো টাকা নাই তখনি শরু হয় ভূক্তভূগী রাজিবের উপর নিষ্ঠুর অত্যাচার অন্যয়ভাবে টর্চার সেলের আত্মনাদ। রাজিবের পিতাকে বলা হয় যদি টাকা দিস তো দুধভাত খাওইয়ে পাঠাব না হয় তো হাড্ডিগুরো করে পাঠাবো। ছেলের আত্মনাদ ও কষ্ট দেখে পিতা অনেক কষ্টে এই হাসান বাহিনী কে দেন ৩ লক্ষ টাকা। টাকা পেয়েও পরিকল্পিত,চক্রান্ত মূলক মামলা দেন যুবক রাজিব কে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, টেকনাফ থানার ওসি প্রদিপ কুমার তার অপকর্মের কারণে দেশজুড়েই আলোচিত। তার সাথে এসআই হাসানের ডিবি তুলনা করলেও কোন অংশে ভুল হবেনা।” ২য় পর্বে আসছে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে”। পর্ব-১

শেয়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও
© All rights reserved © 2022 Uttorbangla24 live
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102