জুয়েল মাহমুদ উজ্জল
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
ভুয়া বিল ভাউচারে ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৬৩ টাকা উত্তোলনের দায়ে পৃথক তিনটি মামলায় কুষ্টিয়া বিআরবি কেবলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ১১ জন কর্মকর্তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
(১৮ মে-২৩) বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী খান অভিযুক্তদের জামিন না মঞ্জুর করে আটকের আদেশ দিয়ে জেলা কারাগারের প্রেরণের আদেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন : বিআরবি কেবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিডেটের ক্যাশিয়ার আলফাজ হোসাইন, জুনিয়র ক্লাক সাহরিয়া রেজা, ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার এ এসএম ওবায়দুল, সিনিয়র কনট্রাকশন শরিফুল ইসলাম, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম সোহেল, সিনিয়র উপ সহকারী প্রকৌশলী কন্ট্রাকশন এ জে মোহাম্মদ নেমেরি, এ্যাসিন্টেট ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী রাকিব হোসাইন, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, পলাশ এন্টার কন্ট্রাকশনের ঠিকাদার মোহাম্মদ সিদ্দিক, মেসার্স কেরু বিশ্বাসের মালিক কেরু বিশ্বাস ও টাইস সরবরাহকারী খাইরুল ইসলামসহ মোট ১১ কর্মকর্তা।
মামলা সূত্রে জানা যায় বিআরবি কেবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিডেটের ওয়্যারস এন্ড কেবলস, এ্যালুমিনিয়াম কন্ডাক্টর, সুপার এনামেন্ড কপার ওয়ার, ফ্লোরোসেন্ট ল্যাম্প ব্যালাস্ট, এমসিবি, ফ্যানসহ আনুষঙ্গিক মালামাল ও সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। ২০২০ সালে ৩০ মে অভিযুক্তরা বিআরবি কেবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এ ক্যাশ অফিসার"সহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের সময়ে ঠিকাদারদের প্যাড জাল স্বাক্ষর করে ভুয়া বিল ভাউচারে তৈরি করে ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৬৩ টাকা উত্তোলন করেন।
এ বিষয়ে বিআরবি কেবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের এর পক্ষে ক্ষমতা গ্রহণ করে ম্যানেজার (এষ্টেট) রবিউল ইসলাম যাচাই বাছায়ের পর বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিআইবি তদন্ত শেষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে উপস্থিত ৪৭ জনের মধ্যে ১১ জনকে জেলাকারাগারে প্রেরণ করেন।