মাহফূজুল করিম,লামা প্রতিনিধি
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি)২০২৩ইং
প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দীন।সে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছলিম উল্যাহ ও ছায়েরা খাতুনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।
মেধাবী শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দীনের পারিবারিক সূত্র জানা যায়,ইতোমধ্যে সে পঞ্চম শ্রেণীর পিএসসি ও অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।মাঝখানে এসএসসি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল করতে না পারলেও এইসএসসি-তে ঠিকই যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে।বর্তমানে সে চট্টগ্রামে তার বড়ো ভাইয়ের সাথে থেকে একই বাসায় অবস্থান করে পড়া লেখা চালিয়ে যাচ্ছে।উল্লেখ্য,তার বড় ভাই জিয়াউল হক জিয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে এখন বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মেধাবী শিক্ষার্থী মিনহাজ তার এ ভাল ফলাফলের জন্য নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও কাঙ্খিত ফল পেয়ে আমি অবশ্যই ভীষণ খুশি হয়েছি।তবে এ খুশিতে সে হারিয়ে যেতে চায় না।সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাই তার আসল।চ্যালেঞ্জ।মিনহাজের স্বপ্ন এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।এজন্য সে চট্টগ্রামে ফোকাস বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর সাথে যুক্ত হয়ে তার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে।
কৃষক বাবার সন্তান হিসাবে মিনহাজের পড়াশেনার এ যাত্রা কখনও সহজ ছিল না।হাজারো প্রতিকূলতা,বাধাবিপত্তি ও অভাব-অনটনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মিনহাজ আজকের পর্যায়ে এসেছে।তার জন্য সে তার বাবা-মায়ের পাশাপাশি তার ভাই জিয়াউলের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা জানায়।
এদিকে মিনহাজের ভাল ফলাফলের জন্য তার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাগনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার কৃষক বাবা ছলিম উল্যাহ।ছেলের জিপিএ-৫ পেয়েছে শুনে তিনি খুবই খুশি হয়েছেন।তিনি বলেন,তাহার এক ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশেনা শেষ করেছে।তাই তিনি চান ছোট ছেলে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।তিনি জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন,নিজের জন্য কখনও ভাবেন না।ছেলেরা বড় হোক,মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির নাম উজ্জ্বল করুক এটাই তার চাওয়া।সর্বপোরি আগামীতে ছেলের উচ্চ শিক্ষায় আরো অধিকতর সাফল্যের জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।আমরাও তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।