জুয়েল মাহমুদ উজ্জল, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাতকে সৌভাগ্যের রাত হিসাবে পালন করে থাকেন। এই রাতে ধর্মপ্রাণদের জন্য কৃপার দরজা খুলে দেন মহান আল্লাহ তায়ালা। তাই এই রাতটি পবিত্র শবে বরাত হিসাবে পালিত হয়।
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয় গোটা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া জুড়ে। ভারত-পাকিস্তান- বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা-আজারবাইজান- তুরস্ক-উজবেবিস্তান- তাজাকিস্তান- কাজাকিস্তান- তুর্কেমেনিস্তান- কিরগিজস্তান জুড়ে চলে শবে বরাতের উৎসব। আরব বিশ্বে কেবলমাত্র সুফি ঐতিহ্যের আরব ও শিয়া মুসলিমরা এই উৎসব পালন করেন।
আরবিতে এ রাতকে বলা হয়, লাইলাতুল বরাত অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। আল্লাহ তায়ালা এই রাতে তাঁর বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।পবিত্র এই রাতে তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কুরআন তিলাওয়াত করেন এবং জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ–অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করার উত্তম সময়ও এটি। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অনেকেই এদিন রোজা রাখেন এবং গোপনে দান করে থাকেন। এই পবিত্র রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলীমরা আত্মীয়-প্রতিবেশী ও দুঃস্থদের মধ্যে হালুয়া, ফিরনি সহ নানারকমের খাবার বিতরণ করে থাকে। রাতে এশার নামাজ থেকে শুরু করে ফজরের নামাজ পর্যন্ত মসজিদ, কবরস্থান এবং মাজারে চলে প্রার্থনা আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভের আশায়।