মুহাম্মদ আফজাল হোসেন,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সারা দেশে গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও,সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার
২৩ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষার্থী বসতে পারেনি পরীক্ষায়।
ঘরে-বাইরে, পরীক্ষা কেন্দ্রে পানি থাকায় প্রথম চারটি পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষাবোর্ড।
এখনও অনেকের ঘরবাড়ি ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রয়েছে পানি। এ অবস্থার মধ্যেই ৯ জুলাই পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা।
জামালগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জুঁই দে সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নৌকা দিয়ে যাতায়াত করা কষ্টদায়ক, সময়মতো নৌকা পাওয়া যায়না।
ঘরে পড়ালেখার জন্য বই-খাতা রাখার কোনো জায়গা নেই, ঘরের ভেতর বন্যার পানি।
দুই দফা বন্যায় ঠিকমত প্রস্তুতি নিতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।
পড়াশুনা ব্যাহত হওয়ায় ফলাফল নিয়ে শঙ্কিত হয়ে উঠেছে অভিভাবকেরা।
অভিভাবকেরা বলছেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে যদি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে পরীক্ষার্থীরা বিপদে পড়ে যাবে। তারা বই-খাতা কোথায় রেখে পড়বে, নিজেরা কীভাবে নিজেদের এই পরিস্থিতির মধ্যে মানসিকভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করবে এরকম নানা প্রশ্ন থেকেই যায়।
প্রকাশিত সময়সূচিতে দেখা যায়, আগামী ১৩ আগস্ট বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা, ১৮ আগস্ট বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ২০ আগস্ট ইংরেজি প্রথম পত্র এবং ২২ আগস্ট ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্বের সময় অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। সুনামগঞ্জে ৩৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
তার মধ্যে জামালগঞ্জে চলতি বছর জামালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৮শ২০ জন শিক্ষার্থী,মানবিক- ৭শ১৬,ব্যবসায় শিক্ষা-৪৭ ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।।
জামালগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত রঞ্জন দে জানান,চলতি বছর জামালগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে ৮শ২০জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। সবার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা সবাই যেনো সাফল্যের সহিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। জামালগঞ্জে দুটি কেন্দ্রে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।