আব্দুল কাইয়ুম, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম (বানিয়া পুকুর) আর্দশ (আশ্রয়নে) আপন মেয়ে জামাইয়ের চাকুর আঘাতে শশুড় মারা গেছে। উপজেলার নিকড়দীঘি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে জামাই মোঃ ফারুক হোসেন (২৫)। আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করা মৃত শুকুর আলীর ছেলে ভুমিহীন কৃষক শশুড় ছুনছু মিয়া। ছুনছুর স্ত্রী আয়েশা বেগম জামাই ফারুক ও তার বাবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে পুলিশ রাতেই বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সরেজমিনে এলাকাবাসি ও ছুনছুর পরিবার বলেন, মাদক সেবী জামাই প্রায় মেয়ে সুমাইয়াকে শারীরিক নির্যানত করত। জামাইয়ের অত্যাচার থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে মেয়েকে শশুড় বাড়ি যেতে দেয়নি। গত (৬ জুলাই) বৃহস্পতিবার ছেলের বউকে নিতে ইউসুব ও কয়েকজন বানিয়া পুকুর আর্দশ গ্রামে ছুনছুর বাড়িতে আসেন। এ বিষয়ে আলোচনার এক-পর্যায়ে উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে উচ্চবাচ্য কথা কাটাকাটি হয়। ছেলের বউ শশুড়ের সঙ্গে যেতে না চাইলে ইউসুব বাড়িতে ফিরে যায়। ওইদিন বিকাল বেলা নন্দীগ্রাম চারমাথায় বাজার করতে যায় ছুনছু মিয়া। এসময় জামাই ফারুকের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে শশুড়রের শরীরের বিভিন্ন স্থানে (৫-৬) টি আঘাত করে। গুরত্বর আহতবাস্থায় ছুনছুকে উদ্ধার করে প্রথমে মহীপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসারত্ব অবস্থায় গত শুক্রবার দুপুরে সে মারা যায়। নিহত ছুনছুর স্ত্রী আয়েশা বেগম স্বামীর হত্যাকারী পাষন্ড জামাই ফারুকের ফাঁসি দাবি করেন। মেয়ে সুমাইয়া আক্তারও বলেন, আমার জন্মদাতা পিতাকে যে হত্যা করতে পারে সে আমার স্বামী হওয়ার অধিকার রাখে না। আমি আমার বাবা হত্যার সঠিক বিচার চাই। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ছুনছুর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছায়নি।