ছাতক প্রতিনিধি
ইফতি ১৫ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াইয়ের পর বুধবার (১৪জুন) ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। ইফতি ছাতক ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়নরত সে ইসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সুনু মিয়ার পুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের চাচা কাশ্মীর চপল। প্রতিবেদকের সাথে আলাপ কালে চপল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারে দাবি জানান।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় একই পরিবারের পিতা ও তিন ছেলেকে আসামী করে ছাতক থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীরা দক্ষিণ গণেশপুরের মৃত আমির আলী ছেলে আশিদ আলী (৬৫) ও তার ৩ছেলে- আরফাত (২২), কামাল হোসেন (৩২), জহির মিয়া (২৪)।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে ছাতক ডিগ্রী কলেজে বখাটে আরাফাত কলেজের এক ছাত্রীকে ইফজিটিং করলে ইফতি তার প্রতিবাদ জানালে বাধেঁ বাক-বিতণ্ডার পরে ধাক্কা ধাক্কি। পরের দিন ৩০মে, পূর্ব পরিকল্পনা করে গণেশপুর খেয়াঘাটের ছড়ারপাড়ে সাখাওয়াত হোসেন ইফতিকে নির্মম ভাবে ছুরিকাঘাত করে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক দোয়ারা সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ৪জন আসামী করে গত ১জুন, মামলা নং (০৩) রুজু করা হয়েছে। আসামীরা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনের মাধ্যমে মুক্ত রয়েছে।