জুয়েল মাহমুদ উজ্জল, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, ৪ বছরের কন্যা সন্তান রেখে বিয়ের দাবীতে প্রেমিক ছালাম ভান্ডারীর বাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীর অনশন। বউ সন্তান ও পরিবারকে একটু সুখে রাখতে সৌদি আরবে পাড়ি জমান উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামের ডেন্টু আলীর ছেলে শামীম রেজা।
স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে একই এলাকার কামালের ছেলে ছালামের সাথে পরকীয়া প্রেমের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রবাসীর স্ত্রীর।
ভুক্তভোগী নারী ছদ্মনাম ফুলকলি জানান, সম্পর্কের পর থেকে প্রেমিক ছালাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুযোগ বুঝে দফায় দফায় শারীরিক সম্পর্কে জড়াই। পরে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ছালাম নানা ভাবে টালবাহানা করতে থাকে এবং তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান, পরিষদের মেম্বারগন ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দুজনকেই বিচারের জন্য উপস্থিত হতে বলে রোববার সকাল ১১ টায়। দীর্ঘ সময় শালিস বর্গ অপেক্ষা করলেও অভিযুক্ত সালাম হাজির না হওয়ায় সালিসি বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। একপর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে শালিসবর্গ ভুক্তভোগী নারীকে ছালামের বাড়ীতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাজুল ইসলাম ও মহিলা মেম্বার পারভীন আক্তার সহ উৎসুক জনতা ভুক্তভোগী নারীকে ছালামের বাড়ীতে উঠিয়ে দিতে গিয়ে তালা বন্ধ পায়। পরে ভুক্তভোগী নারীকে গ্রামপুলিশ আরমান হোসেনের বাড়ীতে রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত ছালাম ভান্ডারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সে পলাতক রয়েছে বলে জানান সেখানকার মানুষ।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারীর প্রবাসী স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকজন তাকে আর বাড়ীতে উঠাবেননা বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী নারীর সাড়ে ৪ বছরের সিনথিয়া নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ভুক্তভোগী নারী ও পরকীয়া প্রেমিক ছালাম দুজনেই সমান অপরাধী। তাই দুজনকে বিয়ে দেয়া হোক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার পাশাপাশি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।