দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বগুলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ১০ শিক্ষক ও প্রভাষকের স্বাক্ষরের স্থানে লাল কলম দিয়ে দাগ দিয়েছেন গভর্নিং বডির তিন সদস্য। এ ঘটনার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানাযায়,রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টা ৪৫মিনিটে বগুলা রোসমত আলী-রামসুন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে উপস্থিত হন গভর্নিং বডির তিন সদস্য জাহের্ মিয়া, হাবিবুর রহমান শেখ চান মেম্বার ও জাফর আলী খান। অফিসে ২৫ মিনিট অফেক্ষার পরেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান কলেজ শাখায় প্রভাষক শামসুল হক, হাসমত আলী,জামাল মিয়া,জাহাঙ্গীর আলম স্কুল শাখায় সহকারী শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন, হানিফ আলী, আনোয়ার হোসেন, সাফায়েত আহমেদ ও অফিস সহকারী সফিকুল আলম স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপস্থিত না হওয়ায় ১০ টা ১০ মিনিটে হাজিরা খাতার স্বাক্ষরের স্থানে লাল কলম দিয়ে দাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের দাবী অফিসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপস্থিত হয়েছেন।
গভর্নিং বডির সদস্য জাহের মিয়া জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ শিক্ষকগণ প্রায়ই স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুপস্থিত থাকেন,দেরীতে আসেন এ বিষয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টা ৪৫মিনিটে স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ১০জন শিক্ষক প্রভাষকে খুঁজে না পেয়ে জানতে পারি উনার আসেননি ১০টা ১০মিনিট পর্যন্ত ২৫ মিনিট অফেক্ষা করে তাদের না পেয়ে হাজিরা খাতায় লাল কালি দিয়ে দাগ দিয়েছেন।
প্রভাষক জামাল মিয়া জানান রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী)
আমি ছুটিতে ছিলাম আমার হাজিরা খাতায় লাল কলম দিয়ে দাগ দেওয়া আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে বুধবার(১ মার্চ) ২ টা ৪৫ মিনিটে বগুলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানকে পাওয়া যায়নি তিনি বাড়িতে চলে গেছেন মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, আমি সভাপতির নিকট থেকে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) ছুটি নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে সিলেটে গিয়েছিলেন।সকল শিক্ষক প্রভাষক যথা সময়ে অফিসে উপস্থিত ছিলেন। গভর্নিং বডির সদস্যগণ হাজিরা খাতায় লাল কলম দিয়ে দাগ দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। উনার অন্যায়ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।আমি কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।
গভর্নিং বডির সভাপতি এডভোকেট ছায়াদ তালুকদার জানান আমি সুনামগঞ্জ আছি আমি শুনেছি তবে বিস্তারিত আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক রঞ্জন পুরকায়স্থের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।