মিনহাজুল হক বাপ্পী, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: দরিদ্র জাহানারা তার স্বামীকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হারান। তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তিনি ৫ বছর ধরে হোটেলের কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করছেন।
হোটেলে কাজ করে যা পায় তা নিয়ে কষ্টে জীবন কাটে তাদের।
লালমনিরহাটের সুরকি মিলসে আরেকজনের ভাড়া বাসায় রাত কাটান তারা। নারী-পুরুষ উভয়কেই এক বিছানায় ঘুমাতে হয়।
জীবিকার সন্ধানে সারাদিন হোটেলে থাকে। এরপরও জনপ্রতিনিধিরা তার খোঁজ নেননি।
স্থানীয়রা জানান, তিনি ১ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আর একটি মেয়ে এতিমখানায় থাকে। আরেক ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। জাহানারা তাদের পেছনে অনেক টাকা খরচ করে। কেউ তাদের খোঁজ খবর রাখে না।
এ অবস্থায় তিনি সরকারি বাড়ি পাওয়ার যোগ্য হলেও কয়েক দফায় তাকে সরকারি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখনও সরকারি বাড়ি পাননি তিনি।
জাহানারা এক টুকরো জমি ও বাড়ি দাবি করেছিল।
লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত আমিনুলের স্ত্রী জাহানারা (৩৭) প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চোখ মুছতে মুছতে এসব কথা বলেন। তিনি এবং তার পরিবার ৫ বছর ধরে হোটেলে ওয়েটার হিসেবে কাজ করছেন। তাদের বলার কিছু নেই।
জীবিকার তাগিদে সারাদিন অন্য হোটেলে ওয়েটারের কাজ করে। জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ-খবর নেননি, আজও তার ভাগ্যে ওই টুকরো জমি ও একটি স্বপ্নের বাড়ি পৌঁছায়নি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মশিয়ার রহমান বলেন, জাহানারা মাননীয় জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলে মাননীয় জেলা প্রশাসক আমাদের এখানে পাঠাবেন, আমরা তখন ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় আমিনুল ইসলাম (৪৫) নামে এক সংবাদপত্র বিক্রেতা নিহত হওয়ার খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।