রাসেল মোল্লা কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি,৩১ডিসেম্বর।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধানখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিভাজন চাই না, সঠিক সময় নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের জনগন। শনিবার সকাল ১০ টায় ওই ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী বিশাল মানববন্ধনে ৯ ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ সহ সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রব মৃধার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো.শাহাজাদ পারভেজ টিনু মৃধা, সাধারন সম্পাদক জাকির মৃধা, এ্যাড. নুর হোসেন খান, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফকু মৃধা, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো.জাহিদুল ইসলাম সাহিন মোল্লা, জমায়েত হিজবুল্লার ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম খান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ইউনিয়ন সভাপতি আনসার উদ্দিন সরদার ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নারী মোসা.বকুল নেছা , ৮ নং লাইজু বেগম প্রমুখ।
ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারের সমালোচনা করে বক্তার বলেন, মূলত বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ার্ড বিভাজনের মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে নির্বাচন স্থগিত করার মাধ্যমে দীর্ঘসময় ক্ষমতা ধরে রাখার পায়তারা করছে। ইউনিয়নের ২,৪,৫,৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে ঘর বাড়ী বা ভোটার অন্য কোন ওয়ার্ড বা ইউনিয়নে যায়নি। এ ইউনিয়নের জনগন এই ইউনিয়নেই আছে। বিলুপ্ত হয়নি কোন ভোটা কেন্দ্র । তাই ওয়ার্ড বিভাজনের প্রয়োজন নাই। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আবেদন ও বেজুলেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবী জানান।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ড বিভাজন করার লক্ষে গত ২৪ আগষ্ট ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ রেজুলেশন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক বরাবরে আবদেন করেছে। এতে উল্লেখ করা হয় দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উপৎপাদন কেন্দ্র পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লা উঠানামার জন্য টার্মিনাল ও বেশ কয়েকটি তাপ বিদ্যুৎ সহ দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় কিছু অংশ উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ২৩০০ একর জমির উপর স্থাপিত হওয়ায় ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে কৃষি জমিসহ ঘর বাড়ি ও সকল স্থাপনা অধিগ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া ২,৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডের জমি ঘর বাড়ি আশিংক অধিগ্রহন করা হয়েছে। অধিগ্রহনকৃত গ্রামের সকল অধিবাসিকে সরকারি আবাসনে অন্যত্র পূর্নবাসিত করা হয়। যাহা পূর্বের ওয়ার্ড বা গ্রামের মধ্যে নহে। এরমধ্যে পার্শবর্তী লালুয়া ইউনিয়নে বেশ কিছু পরিবার ও ৫নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু পরিবারকে টিয়াখালী ইউনিয়নে আবসনে পূনর্বাসিত করা হয়েছে। এছাড়া গন্ডামাড়ি গ্রামের অধিবাসিদের ধুলাসার ইউনিয়নের নির্মিত আবাসনে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এই ইউনিয়নের অধিগ্রহনকৃত ওয়ার্ড কয়েকটি প্রায় সম্পূর্ন জনমানবহীন হয়ে পরেছে। এছাড়া কয়েকটি ওয়ার্ডে আংশিক পরিমান জনগন অন্যত্র সরে যাওয়ায় একটি ওয়ার্ডের নির্বাচনী চাহিদা মাফিক ভোটার নাই এবং কয়েকটি ভোট কেন্দ্র বিলুপ্ত হয়েছে। অথাৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ দখল বুঝে নিয়েছে। এর প্রতিবাদে ধানখালী ইউনিয়ন বাসি ফুঁসে উঠেছেন। সর্বস্তরের জনগন ব্যানারে পৃথক পৃথক প্রতিবাদ সমাবেশ করে।