হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনা শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এখন সে প্রস্তাব নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে কথা বলেন। জেলনস্কি বলেন, চীন শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে। তার মানে, দেশটি যুদ্ধ বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে চায়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পরিকল্পনার প্রথমেই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া এবং রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অবসানের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া, পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শস্য রফতানি স্বাভাবিক করা এবং ‘স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা’ পরিহারেরও কথা তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখিত প্রস্তাবে। খবর বাপসনিঊজ।
বেইজিংয়ের শান্তি প্রস্তাবে স্বাগত জানিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা চীনের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার এবিসি নিউজকে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, তাহলে এটি কীভাবে ভালো হতে পারে? ওই শান্তি পরিকল্পনায় রাশিয়া উপকার ছাড়া কিছুই দেখছি না।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধ দ্বিতীয় বছরে পা রেখেছে। পাল্টাপাল্টি হামলা আর কথার মধ্যেই রয়ে যাচ্ছে আলোচনায় বসার বিষয়টি।যুদ্ধ বন্ধের শান্তি আলোচনা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান বলে জানিয়েছেন। রাশিয়ার আক্রমণের বর্ষপূর্তির দিনে দেওয়া ভাষণে এ পরিকল্পনার কথা জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই, চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না। এ প্রস্তাব ইঙ্গিত দিচ্ছে, চীন শান্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছে।’
তবে জেলেনস্কির সাক্ষাতে আগ্রহের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি চীন। কিন্তু রাশিয়া চীনের শান্তি আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। এদিন বিগত বছরের ঘটনা স্মৃতিচারণ করে সাহসী কণ্ঠে জেলেনস্কি আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে, দৃঢ়ভাবে এবং অবিচলিতভাবে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার শক্তি ইউক্রেনের আছে। তার দেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলেনস্কি জার্মানসহ মিত্র দেশগুলোকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।